পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,'সরকারের সীমাহীন অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে জনগণ।নিত্যপন্যের দাম বৃদ্ধি গ্যাস বিদ্যুৎ পানির সংকট সরকারের ভয়াবহ লুটপাট ও দু:শাসনে দেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ তাই বিএনপির সভা সমাবেশে এখন সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামছে।
বুধবার(২৬ অক্টোবর)বিকেলে খুলনা বিভাগীয় জনসমাবেশে যাওয়ার সময় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলায় কুষ্টিয়ায় আহত নেতাকর্মীদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।এর আগে সকালে তিনি চুয়াডাঙ্গা এবং নড়াইল অঞ্চলে যান।
রিজভী বলেন,'আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও যুবলীগ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার পরেও সকল অত্যাচার ভেদ করে বিএনপির আন্দোলনে শরীক হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিএনপির নেতাকর্মীরাও আরও বেশি শক্তি সঞ্চয় করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।সমাবেশ গুলোতে বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে এই অবৈধ সরকারের সময় আর নেই। অচিরেই এই সরকারের পতন ঘটবে এবং দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে।
উল্লেখ্য, বিএনপির খুলনায় বিভাগীয় গণসমাবেশে আসা-যাওয়ার পথে ক্ষমতাসীন সরকার সমর্থকদের হামলায় গুরুতর আহত শতাধিক নেতাকর্মীকে দেখতে ও খোঁজখবর নিতে তাদের বাড়িতে এবং হাসপাতালে ছুটে গেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রথমে যশোরের মনিরামপুর, কেশবপুর, খুলনার ফুলতলা, খালিশপুর ও বাগেরহাটের মোংলায় আহতদের প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে দিনভর তাদের সাথে কথা বলে তাদের শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
এরপর আজ বুধবার সকালে নড়াইল শহরে জেলা বিএনপির সেক্রেটারি মনিরুল ইসলামের বাসভবনে মুন্না, ইয়ার আলী, রূপকুমার, মাহমুদ দারোগা, মনির, শায়রুলসহ যুবদল, ছাত্রদল ও বিএনপির আহত নেতাকর্মীদের ডেকে খোঁজখবর নেন এবং তাদেরকে স্বান্ত্বনা দেন। এরপর তিনি চুয়াডাঙ্গার সরজ গঞ্জে আহত নেতা মাহবুবুর রহমান, তুহিন, সবুজ, সাকিব, নয়নের খোঁজ খবর নেন। সব শেষে তিনি কুষ্টিয়ায় বিএনপির আহত নেতাকর্মীদের দেখতে ও খোঁজ খবর নিতে যান।
জানা গেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে প্রথমে যশোর ও পরে খুলনা এবং মোংলায় যান রুহুল কবির রিজভী। কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের কাস্তা গ্রামের বিএনপি নেতা মাজেদুর রহমান, শহিদুল ইসলাম ও জিরাবুল ইসলামের বাড়িতে যান এবং বাকি আহত সকল নেতার সাথে কথা বলে তাদের খোঁজখবর নেন। পরে রিজভী খুলনার ফুলতলা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দলের আহত ৪৮ জন নেতাকর্মীর খোঁজ খবর নেন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে কুশল বিনিময় ও দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। এ ছাড়া তিনি যশোরের মনিরামপুরে পাঁচজন আহত নেতাকর্মীর খোঁজ খবর নেন।
খুলনার আহত নেতাদের অন্যতম হলেন, আবুল বাশার, আনোয়ার, মফিজ চেয়ারম্যান ও বাবু এবং মনিরামপুরের আহতরা হলেন- আব্দুর রহিম শেখ ও মমতাজুল ইসলাম এবং খালিশপুরের বাবু প্রমুখ। ফুলতলায় এসময় উপস্থিত ছিল খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা, জেলা সভাপতি আমির এজাজ খান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হাসান বাপ্পি প্রমুখ। পরে মোংলায় আহত ১৪ জনের বাড়ীতে গিয়ে খোঁজ নেন।
এসকল স্থানে রিজভী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা আহত নেতাকর্মীদেরকে দেখতে এসেছি। যারা গত শনিবার খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগদানের আগে ও পরে প্রশাসন এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণের শিকার হয়েছেন এবং জখম হয়েছেন তাদেরকে দেখতে পাঠিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।