Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১১ কোটি টাকা আত্মসাৎ গ্রেফতার ১০ জন

নকল সোনা ম্যাগনেটিক পিলার প্রতারণা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

নকল সোনার বার, ম্যাগনেটিক পিলার ও কয়েন বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। গত রোববার রাতে রাজধানীর বিমানবন্দর ও দক্ষিণখান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা নকল সোনার বার, নকল ম্যাগনেটিক পিলার ও কয়েন প্রতারণার জন্য ভুয়া পরিচয় দিতেন। কেউ কাস্টমস কর্মকর্তা, কেউ পরমাণু বিজ্ঞানী কেউ বা আবার মেজর পরিচয়ে দিয়ে ১১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে চক্রের সদস্যরা। গতকাল সোমবার ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দক্ষিণ গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়।
তিনি বলেন, ভাটারা থানা ও বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা দুটি মামলা তদন্তকালে এক নারী ভুক্তভোগীর সন্ধান পাই। তিনি নিজে এই চক্রের ভুক্তভোগী। তিনি তার ভাটারা ও বসুন্ধরা এলাকার দুটি ফ্ল্যাট বিক্রি করে প্রতারক চক্রকে টাকা দিয়ে সর্বস্বান্ত হন। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত হতে নকল চারটি সোনার বার, সোনার বার তৈরির মেশিন, তামার তার, তার গলানোর কমিক্যাল, হিউম্যান রাইটসের নকল আইডি কার্ড এবং সিভিল এভিয়েশনের নকল আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের প্রাপ্ত তথ্যের বরাতে সঞ্জিব কুমার রায় বলেন, গ্রেপ্তারকৃত বশার মোল্লা নিজেকে কাস্টমস ডিরেক্টরের এপিএস হিসেবে পরিচয় দিয়ে কম দামে স্বর্ণের বার ক্রয় করে দেয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করতেন। গ্রেপ্তারকৃত শেখ সোহাগ হোসেন মিন্টু নিজেকে কাস্টমস ডিরেক্টর অ্যাডমিন হিসেবে ক্রেতার সঙ্গে দেখা করে বিশ্বস্ততা অর্জন করেন। গ্রেপ্তারকৃত দ্বীন মোহাম্মদ ও জুয়েল শিকদার স্বর্ণকার হিসেবে নকল সোনার বার তৈরি করেন। গ্রেপ্তারকৃত কথিত ডাক্তার মোজাম্মেল খান নিজেকে ক্যামিস্ট ও পরমাণু বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিতেন।
গ্রেপ্তারকৃত শেখ আলী আকবর নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর হিসেবে পরিচয় দেন। গ্রেপ্তারকৃত জামাল ফারাজী, সোহেল শিকদার, বিল্লাল হোসেন এবং শাহরিয়ার ইকবাল উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে ক্রেতা যোগাড় করে পরমাণু বিজ্ঞানীর কাছে নিয়ে যেতেন। ম্যাগনেটিক পিলার, কয়েন ও সোনার বার পরীক্ষা করে সঠিক আছে কিনা রিপোর্ট দেন কথিত পরমাণু বিজ্ঞানী।
তিনি বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যরা একেক জন একেক চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ম্যাগনেটিক পিলার, কয়েন ও সোনার বার সরবরাহ করার কথা বলে সুকৌশলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে ১১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চক্রের সদস্যরা শুধু ভুয়া পরিচয়ই দেননি, তারা ভুয়া আইডি কার্ড প্রদর্শন করতেন। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য তারা স্বনামধন্য হোটেলে পার্টির আয়োজন করেন। সেখানে লাক্সারিয়াস প্রাইভেটকার ব্যবহারে সেখানে যান। সেখানে পার্টিতে চক্রেরই সদস্যকে ক্যামিস্ট ও পরমাণু বিজ্ঞানী পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি স্বর্ণের বার, ম্যাগনেটিক পিলার ও কয়েনের সঠিকতা তুলে ধরে দাম নির্ধারণ করতেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ