Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোকেয়া পদক পেলেন অ্যারোমা দত্ত ও নূরজাহান

আগামীতে পাঁচজনকে রোকেয়া পদক দেয়ার সিদ্ধান্ত

| প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং গ্রামবাংলার লোকজ সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে নারী জাগরণ ও পল্লী উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এমন দুজন বাংলাদেশি নারীকে প্রতি বছর রোকেয়া পদকে ভূষিত করা হয়। চলতি বছরে নারী জাগরণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সমাজকর্মী অ্যারোমা দত্ত ও শিক্ষিকা বেগম নূরজাহানের হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেগম রোকেয়া দিবস-২০১৬ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এই পদক বিতরণ করে বলেন, এখন দুজনকে প্রতিবছর এ স্বীকৃতি দেয়া হলেও আগামীতে পাঁচজনকে রোকেয়া পদক দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তৃণমূলে যারা সীমিত সুযোগ নিয়ে নারী জাগরণে, নারী শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে এ পুরস্কার দেয়া হবে।
পাকিস্তান গণপরিষদে প্রথম বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবি তুলে ধরা ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নাতনি অ্যারোমা দত্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য। ১৯৮০ সাল থেকে তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারী জাগরণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে আসছেন। বর্তমানে আছেন বেসরকারি সংস্থা প্রিপ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক পদে। ১৯৫০ সালের ২০ জুলাই কুমিল্লায় জন্ম নেয়া অ্যারোমা দত্ত শহীদ পরিবারের সন্তান। তার দাদা ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এবং কাকা দিলীপ দত্তকে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যারোমার বাবা ছিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক সঞ্জীবদত্ত, যিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ অবজারভারের দ্বিতীয় শীর্ষ
পদে কাজ করেছেন।
আর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার নূরজাহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা সেলাই করেন। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী এই নারী শিক্ষকতা করতেন। দুই দফা জাতীয় মহিলা সংস্থার কুষ্টিয়া জেলা শাখার নেতৃত্ব দেন তিনি।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতি বছর বেগম রোকেয়া দিবসে এই পদক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ১৯৯৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩৯ জন নারীকে এ পদক দেয়া হয়েছে। বেগম রোকেয়া পদক নারী জাগরণের ক্ষেত্রে বেগম রোকেয়ার অবিস্মরণীয় অবদান স্বীকৃতি উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারের একটি রাষ্ট্রীয় পদক। প্রতি বছর ডিসেম্বরের ৯ তারিখ বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে সরকারিভাবে এই পদক প্রদান করা হয়। নারী কল্যাণ সংস্থা ১৯৯১ সাল থেকে এই নামের একটি পদক প্রদান করা শুরু করে। সরকারিভাবে ১৯৯৬ সাল থেকে এই পদক প্রদান করা হয়। পুরস্কৃত প্রত্যেককে এককালীন এক লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের পঁচিশ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণ পদক এবং একটি সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়।
প্রতি বছর ৩০ জুন তারিখের মধ্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক পূর্ববর্তী বছরের জন্য মনোনয়ন আহবান করে। ১৫ অক্টোবরের মধ্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাছাই কমিটি পুরস্কার পাওয়ার উপযুক্ত মহিলাদের নামের তালিকা জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্তত মন্ত্রিসভা কমিটির বিবেচনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করে। প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত বেগম রোকেয়া দিবস অনুষ্ঠানে এই পদক প্রদান করা হয়।
য় শাহনাজ পলি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন