পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জীবন সংগ্রামে কেউ থেমে নেই। ক্ষুধার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে খাবারের খোঁজে যশোরের কেশবপুর উপজেলা থেকে প্রায় ৪৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এক দল হনুমান খুলনায় প্রবেশ করেছে। কালোমুখো এ হনুমানগুলো কখনো মুদি দোকান থেকে কলা পাউরুটি বিস্কুট নিয়ে দৌঁড় দিচ্ছে, আবার কখনো মানুষের বাগান থেকে কলাসহ নানা ফলমূল ছিড়ে খাচ্ছে। শিশুদের মধ্যে হনুমান দেখে আনন্দ ও ভয় দুটোই সৃষ্টি হচ্ছে। আবার খুলনায় যততত্র হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে দুর্ঘটনায় হনুমানের মৃত্যুর শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
গতকাল রোববার সকালে নগরীর খালিশপুর এলাকার কয়েকটি হনুমান দেখা গেছে, তারা বিভিন্ন বাগানের ফলমূল খাচ্ছে। শুধু নগরীতে নয়, খুলনা থেকে আরো ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে রূপসা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গত শনিবার হনুমান দেখা গেছে। গত বুধবার ডুমুরিয়া উপজেলা বাজারে কয়েকটি হনুমান দেখা গেছে।
জানা গেছে, মূলত যশোরের কেশবপুর উপজেলায় কয়েকশ’ হনুমানের বাস। কেশবপুর সদর ও পার্শ্ববতী এলাকার ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিরল প্রজাতির এই হনুমান বসবাস করছে।
বেসরকারি সংস্থা পিসের হিসেব মতে, বর্তমানে ওই এলাকায় প্রায় ৪০০ হনুমান রয়েছে। কয়েক দশক আগে কেশবপুরে হনুমানের সংখ্যা ছিল ৫ সহস্রাধিক। কেশবপুর বাজারের সাহাপাড়া, পশু হাসপাতাল, উপজেলা অফিস, শ্রীগঞ্জ বাজার, ব্রহ্মকাঠি, রামচন্দ্রপুর প্রভৃতি এলাকা হনুমানদের বিচরণক্ষেত্র। কিন্তু আশ্রয়, খাদ্য সঙ্কট, প্রতিকূল আবহাওয়া ও বৈরী পরিবেশের শিকার হয়ে বিলুপ্তির পথে রয়েছে এরা। তাই মাঝে মাঝেই তারা দূরের জেলাগুলোতে চলে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।