পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সচেতনতামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে র্যালির আয়োজন করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পাথওয়ে। 'আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি' এমন প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ শনিবার দুপুরে দিবস‘টির তাৎপর্য তুলে ধরতে এক বিশেষ র্যালির আয়োজন করা হয়।
সকল শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণে র্যালিটি পাথওয়ে‘র প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হয়ে মিরপুর-১০ টু ১৪ নং প্রধান সড়কের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। সে সময় তাঁদের হাতে নিরাপদ সড়ক দিবসের বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড/ফেস্টুন ও ব্যানার দেখা যায়।
র্যালি শেষে দিবসটির তাৎপর্য সম্পর্কে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. শাহিন বলেন, এখন সড়ক যেন, 'মৃত্যু ফাঁদ'। আতঙ্ক নিয়ে সড়কে নামতে হয়, পরিবার কিংবা আপনজনদের কাছে ফিরে যেতে পারবো কিনা শঙ্কা জাগে? এমন দুঃস্বপ্ন বহুদিন বহুকাল ধরে তাড়া করছে।
প্রতিবছরই ঢাক-ঢোল পিটিয়ে নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন করা হয়, অথচ সড়কে প্রতিদিন শতশত লোকের প্রাণহানি ঘটছে বিভিন্ন যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে পরিবার ও রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে সাহায্যের জন্য ছুটে বেড়াচ্ছে অসহায় লাখো মানুষ। কিন্তু বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করে যাছে যুগের পর যুগ।
শাহিন বলেন, লক্কর-ঝক্কর ফিটনেস ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সড়ক ও মহাসড়কে সর্বত্র। সারাদেশে কেবল মাত্র একটি ভিহিক্যাল ইন্সপেকশন সেন্টার সচল” বাকি সবকটি অচল, এখানেও রয়েছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের বড় রকমের উদাসিনতা। শুধুমাত্র একটি ভিহিক্যাল ইন্সপেকশন সেন্টার দেখিয়ে সারা দেশের গাড়ীর ফিটনেস দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে জেলা পর্যায়ে বিআরটিএ এর পরিস্থিতি আরও বেশী নাজুকও ভঙ্গুর বলেও উল্লেখ করে পাথওয়ের নির্বাহী পরিচালক বলেন, স্বল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে ডিসি অফিসের দু‘ চারটি রুম দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে বিআরটিএ এর সেবা কার্যক্রম। যেখানে প্রতিদিন শত শত কোটি টাকা রেভিনিউ আদায় করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অথচ জেলা পর্যায়ে সারাদেশে কোথাও নেই বিআরটিএ এর নিজস্ব ভবন।
দক্ষতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে এ এক মারাত্মক ত্রুটি উল্লেখ করে নির্বাহী পরিচালক মো.শাহীন বলেন, বিআরটিএ এর অনুমোদিত নির্দিষ্ট প্রশিক্ষকের প্রশিক্ষণ ছাড়াই নামমাত্র লার্নার লাইসেন্স ও ভূয়া সার্টিফিকেট সনদ দেখিয়ে লাখ লাখ অদক্ষ চালক, ১০ মিনিটের জিগজ্যাগ পরীক্ষা ১ মিনিটে শেষ করে পার পেয়ে যাচ্ছে পেশাদার-অপেশাদার সকল পরিক্ষার্থী। ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার এমন উদাসিনতাকে কোনভাবেই ছাড় দেওয়া ঠিক নয়।
ডোপ টেস্ট সকল চালকের জন্যই অতি জরুরি উল্লেখ তিনি বলেন, শুধুমাত্র পেশাদার চালক নয়, ডোপ টেষ্ট প্রয়োজন পেশাদার-অপেশাদার উভয়ের। কেননা সড়ক ব্যবহারে উভয়েই সমান এবং সড়ক দুর্ঘটনা উভয় পেশার চালকের মাধ্যমেই ঘটছে। তাই এখানে কোন একটিকে ছোট করে দেখলে হবে না। চালকের আসনে যেই বসেন না কেন! নিয়ম মেনে গাড়ি চালাতে হবে সবাইকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।