পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, পরিবহন বন্ধ করে দিয়ে, পথে পথে বাধা দিয়ে জনস্রোত ঠেকানো যাবে না। যত বাধা আসবে গণআন্দোলন আরও বেগবান হবে, তীব্র হবে। আর এই তীব্র গণআন্দোলনে ভোট ডাকাত, লুটেরা অবৈধ সরকারের পতন হবে। গতকাল রাজধানীর মিরপুরে সনি সিনেমা হলের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন।
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহে জনস্রোত সরকার ঠেকাতে পারেনি। এবার খুলনার জনস্রোতও সরকার ঠেকাতে পারবে না। এখন যারা ক্ষমতায় আছে তারা ভোট ডাকাত, ভোট চোর, লুটেরা। এরা জনগনের সাথে প্রতারণা করে জনগনের অধিকারকে কেড়ে নিয়েছে। আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ এই গণবিরোধী সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিতে চাই। খেতে না পারা মানুষ প্রতিদিন সরকারকে গালি দিচ্ছে।
মান্না বলেন, ওরা ভেবেছে গণপরিবহন বন্ধ করলে জনতার ঢল ঠেকানো যাবে। খুলনায় ওরা গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। তাতে কি জনস্রোত ঠেকাতে পারবে? সরকারের বিরুদ্ধে জনগন ফুঁসে উঠেছে। সরকারের বিরুদ্ধে যে জনরোষ সৃষ্টি হয়েছে সেই জনস্রোত কেউ ঠেকাতে পারবে না। সরকারের বিরুদ্ধে একটা গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বৃহত্তর গণঐক্যের আহবান জানিয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই রাখবো। বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করবো। আমরা ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রের খোলনলচে পাল্টে ফেলবো। আসুন আমরা সকলে এক হই, একতা গড়ে তুলি। অবশ্যই এই সরকারের পতন ঘটাতে হবেই হবে।
জনসংহতির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, গণ আন্দোলনের ভয়ে নার্ভাস সরকার গত দুই মাসে ৫ জন নাগরিককে মিছিল সমাবেশে গুলি করে হত্যা করেছে। তবুও মানুষের ঢল রুখতে না পেরে আজ তারা বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমাবেশ পণ্ড করতে পরিবহন বন্ধ কর অঘোষিত হরতাল করছে এই সরকার। এটা আওয়ামী লীগের পরাজয় ছাড়া আর কিছু নয়।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম দিগুণ হয়েছে, সরকার কোনো ভ্রুক্ষেপ করছে না। কৃষি উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে, সার, জ্বালানির দাম বাড়ায় কৃষক ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, খাদ্যঘাটতি প্রকট হবে। এই সরকার গুলি করে, পারলে কামান-ট্যাংক দিয়ে জনবিক্ষোভকে বা বিরোধী মতকে দমন করার চেষ্টা করছে। কামান-ট্যাংকের সামনে দাঁড়িয়েও যদি দেশকে রক্ষা করা না যায় তাহলে দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব বিলীন হয়ে যাবে।
গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে বিকালে মিরপুরের সনি সিনেমা হলের সামনে ‘সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হোন, দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি ঠেকাও এবং রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে হামলা-মামলা, গুলি-হত্যার প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়। গণসংহতি আন্দোলনের মিরপুর জোনের আহ্বায়ক মাহবুব রতনের সভাপতিত্বে ও নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ারের সঞ্চালনায় সমাবেশে ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, তমাল তালুকদার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, মাইনুর রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আকবর খান, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ইমরান ইমন, শাহাবুদ্দিন কবিরাজ লিটন, গণসংহতি আন্দোলনের জুলহাসনাইন বাবু, নাগরিক ঐক্যের আনিসুর রহমান খসরু, গণঅধিকার পরিষদের মিয়া মশিউজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।