Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রযুক্তি শিক্ষায় যাত্রা শুরু এলজি আইটি একাডেমির

| প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য প্রযুক্তি শিক্ষা নিশ্চিত এবং তাদেরকে যোগ্য বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে যাত্রা শুরু করেছে এলজি আইটি একাডেমি। এ একাডেমি শিশুদের মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাধশি জ্ঞান-বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়গুলোও শেখার সুযোগ করে পদবে। গতকাল রোববার রাজধানীর রায়ের বাজারে জাগো স্কুলে এই এলজি আইটি একাডেমি নির্মাণ করেছে এলজি ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ ও জাগো ফাউন্ডেশন। একাডেমির উদ্বোধন করেন এলজি ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাডওয়ার্ড কিম এবং জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান করভি রাখসান্দ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলজি ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশর হেড অব কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স মাহমুদুল হাসান, সহকারী ব্যবস্থাপক মো: গিয়াস উদ্দিন এবং জাগো ফাউন্ডেশনের জেষ্ঠ্য ব্যবস্থাপক (পার্টনারশিপ অ্যান্ড ব্রান্ডিং ডিপার্টমেন্ট) নুসরাত জেরিন।
গত জুলাই মাসে এই আইটি একাডেমি নির্মাণে এলজি ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ ও জাগো ফাউন্ডেশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। একাডেমিতে ২০টি কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ ও প্রজেক্টরসহ নানা সুবিধা রয়েছে। এটি ব্যবহারের সুযোগ পাবে জাগো স্কুলের শিক্ষার্থীরা। প্রশিক্ষকরা পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদের আইসিটি প্রশিক্ষণও দেবেন।
অনুষ্ঠানে এলজি ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাডওয়ার্ড কিম বলেন, তথ্য প্রযুক্তি এখন শুধু বিজ্ঞান চর্চা বা বাণিজ্যিক কাজেই ব্যবহৃত হয় না বরং মানসম্পন্ন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যোগ্য নাগরিক ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে শৈশবকাল থেকেই উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হয়। আধুনিক কালে এ জন্য সবচেয়ে বড় হাতিয়ার তথ্য প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির ব্যবহারে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের বাইরেও জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা সম্পর্কে জানতে পারবে। এলজি আইটি একাডেমিতে শিশুরা সে সুযোগ পাবে।
অ্যাডওয়ার্ড কিম বলেন, এই একাডেমিতে শিশুরা খেলাচ্ছলে জ্ঞানচর্চা করতে পারবে। একইসাথে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ এবং দেশ-বিদেশে যোগাযোগের কৌশল শিখতে পারবে। তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক পণ্য উদ্ভাবন ও এর ব্যবহার প্রসারের মাধ্যমে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেয়ার জন্য কাজ করছে এলজি। এলজি আইটি একাডেমি সেই নিরন্তর প্রচেষ্টারই অংশ। ভবিষ্যতেও আমরা এ ধরনের কাজ অব্যাহত রাখব।
জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান করভি রাখসান্দ বলেন, এযুগে শিক্ষা, স্বাস্থ্য চর্চা ও বিনোদনের মাধ্যমও তথ্যপ্রযুক্তি। এটি শিশুদের জন্য পড়াশোনাকে আনন্দময় করে তোলে। এলজি আইটি একাডেমি শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। তাদের সার্বিক জীবন যাপনেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনার পাশাপাশি জীবনের বড় লক্ষ্য নির্ধারণে সাহায্য করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ