পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমীরে শরীয়ত ওয়াত তরিকত ছারছীনা দরবার শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে আলেম ওলামা পীর মাশায়েখদের উদ্দেশ্য করে বলেন, মিলাদ কিয়ামসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফেৎনা শুরু হয়েছে। এখন ঐক্যের সময় ফেৎনার সময় নয়। রাসুলকে (সাঃ) ভালবাসার মাধ্যমে আল্লাহকে পাওয়া যায়। সুতরাং আসুন আমরা রাসুল (সাঃ) এর প্রেম ভালবাসার মাধ্যমে আল্লাহর এবাদত বন্দেগী করি। তিনি বলেন, এদেশের আলিয়া মাদরাসাগুলোতে হক্কানী আলেম ওলামা তৈরীর মানষিকতা নিয়ে স্থাপন করা হয়েছিল। তা এখন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তাই আপনার সন্তানকে হক্কানী আলেম বানাতে চাইলে দীনিয়া মাদরাসায় পাঠান। কেননা যুগে যুগে হক্কানী আলেম ওলামারাই পথ হারা মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের নবী হজরত মোহাম্মদ (সাঃ) সারা জীবন সৎপথহারা মানুষদেরকে দীনের দাওয়াত দিয়েছেন। তাকে মহান আল্লাহ তায়ালা আদর্শ মানুষ হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। তার অবর্তমানে এ কাজ্ হক্কানী আলেম ওলাদের করতে হবে। আমাদের প্রিয় রাসুল (সাঃ) -এর আদর্শ মেনে খাটি মুসলমান হতে হবে কেননা আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে তার নাফরমানী করার জন্য দুনিয়াতে পাঠাননি। তার এবাদত করার জন্য পাঠিয়েছেন। আমরা যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন তার এবাদত করবো, ইসলামের নিদের্শনা মোতাবেক এবাদত এবং আমল করবো।
তিনি গত ১৯ অক্টোবর রাত ১১টায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী এলাকার ঘুঘরারকুটি দীনিয়া মাদরাসা মাঠে সভাপতিহীন ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে এ নছিহত পেশ করেন। অন্যান্যের মধ্যে তার সফর সঙ্গী ও এলাকার আলেম ওলামাগণ হেদায়েতের নছিহত পেশ করেন। ওয়াজ মাহফিলে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মার শান্তি সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করেন পীর ছাহেব কেবলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।