পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে কবিয়াল সরকার কমল দাশ (৬৬) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন দুই আসামী। তারা জানিয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ডোবায় ফেলে দেয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আওলাদ হোসেনের আদালতে আসামী তপন চৌধুরী গণেশ (৩৮) ও রাজিব চৌধুরী রাজন (৪০) এ জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. আলমগীর। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গণেশ ও রাজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। এরপর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলত জবানবন্দি দেন।
তারা আদালতকে জানিয়েছেন, ১৬ অক্টোবর কমল দাশকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ডোবায় ফেলে দেয়। এ হত্যাকাণ্ডে চারজন অংশ নিয়েছিলো। প্রতিবেশি উজ্জ্বলের সাথে পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন এ দুই আসামী। গ্রেফতারকৃত তপন চৌধুরী গণেশ দক্ষিণ সারোয়াতলী গ্রামের মৃত হারাধন চৌধুরীর ছেলে ও রাজিব চৌধুরী রাজন একই এলাকার নিরাধন চৌধুরীর ছেলে। গত ১৬ অক্টোবর নিখোঁজ হন কবিয়াল সরকার কমল দাশ। এর তিনদিন পর বুধবার রাতে বাড়ির অদূরে একটি ডোবায় তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কমল দাশের ছেলে অন্তর দাশ বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত সরকার কমল দাশ সারোয়াতলী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইমামুল্লার চর গ্রামের মৃত সুধাংশু দাশের ছেলে। তিনি কবিগান করতেন।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে অন্তর দাশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।