পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লি বা নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনকাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৯ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লি বা নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনকাজের অনুমতি প্রদান করছি।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব জিয়াউল হাসান, রূপপুর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর। ঈশ্বরদীর জনপ্রতিনিধি, পরমাণু শক্তি কমিশনের কর্মকর্তাসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কেন্দ্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি রোসাটম ও এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের কর্মকর্তারা।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের এই অঞ্চলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। পাকিস্তান আমলে ১৯৬২ সালে এখানে দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একটা পশ্চিম পাকিস্তানে, একটা আমাদের দেশে। জমিও ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলো আমাদের অঞ্চলে আর নির্মাণ করেনি পাকিস্তানি শাসকরা। বরং দুটিই তারা নিজ দেশে নিয়ে যায়। ফলে আমরা পূর্ব বাংলার মানুষ বঞ্চিত হই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জাতির পিতা দেশের টাকা দিয়ে সমস্ত গ্যাস ফিল্ড ক্রয় করেন। ওই সময় আমাদের যখন দুরবস্থা, সেই সময়ও তিনি ভোলেননি যে এই সম্পদ বাংলাদেশের মানুষের সম্পদ। আমাদের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদসহ সব সম্পদ স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য নিশ্চিত করে দিয়ে যান। রাষ্ট্রের মালিকানা নিশ্চিত করেন। সংবিধানের মাধ্যমে সারা দেশের মানুষকে বিদ্যুৎ দেওয়াও জীবনমান উন্নত করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেন। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণেও আলোচনাও করেছেন। কিন্তু তিনি তা শেষ করে যেতে পারেননি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ নিউক্লিয়ার পাওয়ার অ্যাকশন প্ল্যান্ট আমরা প্রণয়ন করি। এ বিষয়ে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী সাদেক সাহেবের নেতৃত্বে আমি একটি কমিটিও তৈরি করে দিয়েছিলাম। কমিটি ভিয়েনাসহ অনেক জায়গা যায়। আমরা অনেক কাজ এগিয়ে নিয়ে আসি, নীতিমালা তৈরি করি। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসে জমি দেখে যায়। এরপর ২০০১ সালে ক্ষমতায় না আসতে পারায় এ কাজ আর এগোয়নি। বিএনপি-জামায়াত জোটও এসব বিষয়ে কোনও কাজ করেনি।’
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে পুতিনের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর আমি আবার এ ব্যাপারে উদ্যাগ নিই। সে সময় আমি রাশিয়ায় যাই। সেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ব্যাপারে আলোচনা করি এবং এ নিয়ে আমরা চুক্তি স্বাক্ষর করে আসি। তখন পারমাণবিক পাওয়ার প্ল্যান্টে সর্বাধিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টা আলোচনা হয় এবং এ নিয়ে কয়েক দফা মিটিং হয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।