Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কবি ফররুখ আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২২, ৯:৪৭ এএম

'রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?/শুধু গাফলতে শুধু খেয়ালের ভুলে/দরিয়া- অথই ভ্রান্তি- নিয়াছি ভুলে/আমাদেরি ভুলে পানির কিনারে মুসাফির দল বসি/দেখেছে সভয়ে অস্ত গিয়াছে তাদের সেতারা, শশী।'

কবি ও শিশুসাহিত্যিক ফররুখ আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৭৪ সালের ১৯ অক্টোবর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

এই বাঙালি কবি 'মুসলিম রেনেসাঁর কবি' হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তার কবিতায় বাংলার অধঃপতিত মুসলিম সমাজের পুনর্জাগরণের অণুপ্রেরণা প্রকাশ পেয়েছে।

ফররুখ আহমদ ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা খান সাহেব সৈয়দ হাতেম আলী ছিলেন পুলিশ ইন্সপেক্টর।

ফররুখ আহমদ ছাত্রাবস্থাতেই এমএন রায়ের র‌্যাডিক্যাল মানবতাবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বামপন্থি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু দেশভাগের পর তিনি পাকিস্তানি আদর্শ ও কথিত মুসলিম জাগরণের একজন সমর্থক হন। অবশ্য ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রতি তার অকুণ্ঠ সমর্থন ছিল।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতিও তার অনুরূপ সমর্থন ছিল। তার কাব্যের মৌলিক প্রবণতা মুসলিম সংস্কৃতির গৌরবকীর্তন ও জাতীয় চেতনার পুনর্জাগরণ।

তার উল্লেখযোগ্য কাব্য সাত সাগরের মাঝি (১৯৪৪), সিরাজাম মুনিরা (১৯৫২), নৌফেল ও হাতেম (১৯৬১), হাতেমতায়ী (১৯৬৬) ইত্যাদি। পাখির বাসা (১৯৬৫), হরফের ছড়া (১৯৭০), ছড়ার আসর (১৯৭০) ইত্যাদি তার শিশুতোষ রচনা।

তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬০), প্রেসিডেন্ট পুরস্কার প্রাইড অব পারফরম্যান্স (১৯৬১), আদমজী পুরস্কার (১৯৬৬), ইউনেসকো পুরস্কার (১৯৬৬), মরণোত্তর একুশে পদক (১৯৭৭), স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৮০) লাভ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ