পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুদ্ধ-অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আর আমরা স্বজনহারা বেদনার কান্না শুনতে চাই না।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২২’ এর উদ্বোধন এবং ‘শেখ রাসেল পদক-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর আমরা স্বজনহারা বেদনার কান্না শুনতে চাই না। পিতাহারার সন্তানের কান্না শুনতে চাই না। সন্তানহারা পিতার কান্না শুনতে চাই না। আজকে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ। কত শিশু এতিম হয়ে যাচ্ছে, কত শিশু আজকে কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের দেশে রোহিঙ্গাদের আমরা আশ্রয় দিয়েছি সেখানেও হাজার হাজার শিশু, তারাও নিজের স্বদেশ ভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে আজকে রিফিউজি হিসেবে মানুষ হচ্ছে।’
‘একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব আমরা চাই, যুদ্ধ চাই না, ধ্বংস চাই না, অস্ত্র প্রতিযোগিতা চাই না, শান্তি চাই আমরা, শান্তি চাই। কোনো শিশু রিফিউজি হোক চাই না, বুলেটের আঘাতে কোনো শিশুর জীবন প্রদীপ নিভে যাক, ছোট্ট দেহ ক্ষতবিক্ষত হোক সেটা আমরা চাই না। বিশ্বে শান্তি ফিরে আসুক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার দেশের মানুষ তারা ভালো থাকুক। আমার দেশের ছেলে-মেয়েরা, ছোট্ট শিশুরা সুন্দর জীবন পাক সেটাই আমার লক্ষ্য। ...আমরা যুদ্ধ চাই না, সংঘাত চাই না। রাসেলের মতো আর কেউ জীবন দিক সেটাও আমি চাই না। আমরা চাই প্রত্যেকের ভবিষ্যৎ সুন্দর হোক উন্নত হোক।’
‘আজ মানবাধিকার নিয়ে গাল ভরা কথা শুনি’
নিজের বাবা-মা, স্বজন হত্যার বিচার চাইতে না পারার সেই বেদনার কথা স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কেউ বিচার চাইতে পারবো না। এখানে আমার একটা প্রশ্ন- আজকে আন্তর্জাতিকভাবে কত কিছু হয় মানবাধিকারের কথা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদ কত কিছু হয়, কই তখন কেউ তো আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি। হ্যাঁ, আমার দল এবং বাংলার জনগণ ছিল। কিন্তু যারা ঘাতকদের সঙ্গে ছিল ঘাতকদের সহযোগিতা করেছিল বা চক্রান্তের সঙ্গে ছিল বা ঘাতকদের পুরস্কৃত করেছে। বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেওয়া, প্রমোশন দেওয়া, এমনকি যে ঘাতক মারা গেছে তাকেও প্রমোশন দিয়ে পুরষ্কৃত করা। এই অন্যায় অবিচারগুলো তো নিজে চোখে দেখেছি। আজ মানবতার কথা মানবাধিকারের কথা, এত কথা গাল ভরা শুনি কেন? আমার এই প্রশ্নের জবাব কি কেউ দিতে পারবে?’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে এইসব লোক যারা হত্যাকারী, হত্যাকারীদের মদদ দাতা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। আমার অধিকার, আমার মানবাধিকার, আমার বাবা-মায়ের বিচার চাওয়ার অধিকার তো আমারই ছিল। সেখান থেকে তো আমরা বঞ্চিত ছিলাম। যে সব বিচারক সেদিন বিব্রত হয়েছিলেন তারা এখন অনেকেই বড় বড় দার্শনিক হয়ে গেছেন। আমি তো সবই দেখি কিছু বলি না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।