পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হচ্ছে আরো পাঁচ সচিবকে। সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে। শুধু সচিব নন, কয়েক জন অতিরিক্ত সচিবও আছেন এই ষড়যন্ত্রে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ১২। একটি গোয়েন্দা সংস্থা এই ১২ জনের দৈনন্দিন চলাফেরা, মোবাইল ফোনে যোগাযোগসহ দেশে-বিদেশে তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছে। গত রবিবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেনকে অবসরের প্রায় এক বছর আগে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। বর্তমান সচিব ও অতিরিক্ত সচিবদের সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত কয়েক জন সচিবও এ কাজে যুক্ত হয়েছেন। এদের কারো কারো বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হতে পারে, সে বিষয়ে শীর্ষমহলে আলোচনা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘পদোন্নতিবঞ্চিত কয়েক জন কর্মকর্তা সরকারবিরোধী কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছেন এমন কিছু তথ্য নিয়ে আমরা অনুসন্ধান শুরু করি। পরে একাধিক কর্মকর্তার এ ধরনের কার্যক্রমে জড়িত থাকার তথ্য-উপাত্ত আমাদের হাতে আসে। এরপর তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম মনিটরিং শুরু করি। তাতেই মেলে ষড়যন্ত্রের তথ্য। পুরো বিষয়টি সরকারের শীর্ষমহলে জানানো হয়।’
দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, মকবুল হোসেন পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের উলটো দিকে একটি অফিসে নিয়মিত যাতায়াত করছিলেন। সেই অফিস পরিচালনা করেন বিএনপির এক শীর্ষ নেতা। সূত্রগুলো বলছে, অভিযুক্ত এসব কর্মকর্তা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে ফেলেছিলেন। তাদের কেউ কেউ লন্ডনে যোগাযোগ রেখেছেন এমন তথ্যও অনুসন্ধানে মিলেছে। ফলে গুরুতর অপরাধে জড়িত পাঁচ সচিবকে আগাম অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি সচিব ও অতিরিক্ত সচিব মিলিয়ে যে ১২ জনের তালিকা হয়েছে, তাদের ব্যাপারে সরকার কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে। সবাইকে অবসরে পাঠানো না হলেও কঠোর মনিটরিংয়ে রাখা হবে।
সরকারের শীর্ষমহল থেকে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার অনুমোদন মিলেছে। ফলে অবসরে পাঠানো কারো কারো বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থাটি এদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট আলামত সংগ্রহ করছে।
গত রবিবার অবসরে পাঠানো তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেনকে সরকার অবসরে পাঠায়। এ নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন চলছে দেশ জুড়ে। এর মধ্যেই গতকাল সোমবার সচিবালয়ে নিজের অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মকবুল হোসেন। তিনি দাবি করেন, এ ধরনের কোনো ষড়যন্ত্রের সঙ্গে তিনি জড়িত নন, বরং ছাত্রজীবনে তিনি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন।
সূত্র জানায়, প্রশাসনের শুধু এই কর্মকর্তারাই নন, মধ্যম ও জুনিয়র পর্যায়ের কিছু গ্রুপ লন্ডনকেন্দ্রিক যোগাযোগ রাখছে। এসব খবর সরকারের কাছে আছে। এদের মধ্যে যারা চিহ্নিত, তাদের বিভিন্নভাবে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। তথ্যসচিবের বিষয়টি কেন্দ্র করে সবাইকে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাদের মধ্যে দোটানা ভাব আছে, তাদের বিষয়ে এটি পরিষ্কার বার্তা বহন করবে।
এই অবসরের মাধ্যমে প্রায় দেড় দশকের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দ্বিতীয় বারের মতো এক জন তথ্যসচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো। ২০০৯ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হেয় করে কবিতা লেখার অভিযোগে তৎকালীন তথ্যসচিব আ ত ম ফজলুল করিমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছিল সরকার। তিনি লেখকমহলে আবু করিম নামে পরিচিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেওয়ার কারণে পাঁচ সচিবকে একসঙ্গে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছিল সরকার। সেসব সচিব আইন ভঙ্গ করে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ পর্যন্ত করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।