Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সচিবকে অবসরে পাঠানোর কারণ জানি না : তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

চাকরির মেয়াদ একবছর থাকতেই নিজ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনকে অবসরে পাঠানোর অন্তর্নিহিত কারণ জানা নেই বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে টেলিভিশন শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক ও কলাকুশলীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। গত রোববার তাকে অবসর দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে আগামী বছরের ২০২৩ সাল অক্টোবর চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল মকবুল হোসেনের।
তিনি বলেন, প্রথমত গতকালকে আমি দেখেছি, মন্ত্রণালয়ে এসে শুনেছি। অন্তর্নিহিত কী কারণ, সেটা আমি জানি না। অন্তর্নিহিত কারণ বলতে পারবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর মাধ্যমে সরকার প্রশাসনকে কী বার্তা দিলো অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সচিব অবসর নিতে পারেন, তাকে আবার এক্সটেনশন দিতে পারে, দেয়। আবার সচিবের মেয়াদপূর্ণ হওয়ার আগে সচিবকে সরিয়ে দেয়, অবসরে দেয়, এগুলো আগেও ঘটেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ই এর ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবে।
এটিকে কী স্বাভাবিক বলে মনে করছেন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অবশ্যই, এটি সরকারের মধ্যে অতীতেও ঘটেছে, বিভিন্ন সময়ে ঘটে। আপনি সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী, আপনার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এক বছর আগে বিদায় দেয়া হলো এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এর আগে কোনো সচিবই এক দেড় বছরের বেশি এখানে থাকেননি। এর আগে আমি অন্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলাম, সেখানেও তিন-চার জন্য সচিব ছিল আমার সঙ্গে।
বলা হচ্ছে, সচিব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, আপনি তার ব্যাপারে বিরক্ত ছিলেন এর জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ তো স্বাভাবিকভাবে চলছে। আমি প্রতিদিন মন্ত্রণালয়ে আসি। প্রতিদিন দু-ঘণ্টার জন্য হলেও আসি। কোনো সিদ্ধান্ত দেয়ার পর তা বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করি। মামলাগুলোও আমি তদারকি করি। মন্ত্রণালয়ের কাজ করার ক্ষেত্রে আমি যেহেতু তদারকি করে যে কাউকে দিয়ে কাজ করাতে পারব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ