পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল স্থাপন করা হবে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আগামী ২০২৪ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে। আগামীকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ রিঅ্যাক্টর ভেসেল স্থাপনের উদ্বোধন করবেন। কোভিড পরিস্থিতির কারণে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। গতকাল সোমবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, প্রকল্পের নির্মাণ সংস্থা রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকবেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। রিঅ্যাক্টর স্থাপনের সার্বিক প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, রিঅ্যাক্টর স্থাপন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব চেয়ে বড় অগ্রগতি। গত বছর প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর স্থাপন হয়েছে। দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর স্থাপনের জন্য আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এ প্রকল্পের সব কাজই সিডিউল অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করি নির্ধারিত সময়েই আমরা দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারব।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে জানা গেছে, দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর স্থাপনের আগে রিঅ্যাক্টর ভবনের বিভিন্ন স্তরের অবকাঠামোসহ সংশ্লিষ্ট পর্যায়গুলো ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ রিঅ্যাক্টর স্থাপন হলে রূপপুর প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটেরও মাইলফলক অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে। গত বছর ১০ অক্টোবর রূপপুর এনপিপির প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর স্থাপন করা হয়। আগামী বছর শেষের দিকে প্রথম ইউনিটের নিউক্লিয়ার ফুয়েল লোডিং উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তুতিও চলছে। ফুয়েল লোডিংয়ের মধ্য দিয়ে উৎপাদনে যাবে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। রাশিয়ার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, আর্থিক ও প্রকল্প বাস্তবায়নসহ সার্বিক সহযোগিতায় নির্মিত হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এতে স্থাপন করা হচ্ছে রাশিয়ার উদ্ভাবিত সর্বশেষ প্রযুক্তি থ্রি জি (প্লাস) ভিভিইআর ১২০০ মডেলের রিঅ্যাক্টর। রোসাটম প্রকৌশল শাখা এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। গত বছর আগস্টে রাশিয়া থেকে দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টরটি দেশে পৌঁছায়। রোসাটমের জেএসসি এইএম টেকনোলোজির ভল্গোদনস্ক শাখার অ্যাটোমম্যাস প্লান্টে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টরসহ ভারী সরঞ্জামগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩৩৩ দশমিক ৬ টন ওজনের ভিভিইআর ১২০০ রিঅ্যাক্টর ভেসেল প্রস্তুত করতে দুই বছরের বেশি সময় লাগে। অ্যাটোমম্যাসের কারখানা থেকে এ রিঅ্যাক্টর ভেসেল ভল্গোদনস্কের পানির রিজার্ভারে নেওয়া হয়। এরপর বার্জে উঠিয়ে পাঠানো হয় নভোরোসিস্কে। এরপর এটি কৃষ্ণ সাগর ও সুয়েজ খাল হয়ে ১৪ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরে আসে। এ কার্গো পরিবহনে দুই মাসের বেশি সময় লাগে। নির্দিষ্ট ভবনের সার্বিক প্রস্তুতির পর এখন রিঅ্যাক্টরটি স্থাপন হতে যাচ্ছে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আগামী ২০২৪ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।