Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আবারও জামিন চাইলেন সেই মিন্নি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি আবারও জামিন চেয়েছেন হাইকোর্টে। গতকাল রোববার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের ডিভিশন বেঞ্চে জামিন আবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। এ তথ্য জানিয়েছেন মিন্নির পক্ষের অন্যতম আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি ফাঁসির দÐ থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: আছাদুজ্জামান এ মামলায় রায় দেন। এতে প্রাপ্ত বয়ষ্ক ১০ আসামির মধ্যে মিন্নিসহ ৬ জনকে মৃত্যুদÐাদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে ৬ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার দÐে দÐিত করেন। ৪ আসামিকে খালাস দেয়া হয়। একই বছরের ৪ অক্টোবর ৬ আসামির মৃত্যুদÐাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। সেইসঙ্গে ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করেন।
মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, মো: রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় ও মো: হাসান। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, মো: মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো: সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।
২০১৯ সালের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মৃত্যু ঘটে।
রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় প্রথমে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেছিলেন নিহত রিফাতের বাবা। পরে ২ জুলাই ভোওে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয় প্রধান আসামি ন য়ন বন্ড। হত্যাকাÐের ২০ দিন পর ওই বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় ওইদিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। একই বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট মিন্নিকে জামিন দেন। ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক, দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন রয়েছেন। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি প্রাপ্ত বয়ষ্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ