পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত সিদ্ধান্তে করোনা মোকাবিলায় আমরা দ্রুত সাফল্য অর্জন করেছি। এজন্য বিশ্বে বাংলাদেশ প্রশংসিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল শনিবার ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত দু’দিনব্যাপী (১৩-১৪ অক্টোবর) চতুর্থ গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ সামিটে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের জনসম্পৃক্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিস্ময়কর অর্জনের উদাহরণ দিয়ে কমিউনিটিভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ আইন, নীতি এবং কর্মকৌশল রয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণের মানসম্মত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নীতি ও কর্মকৌশলের বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এ সময় মন্ত্রী আরও জানান, ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে নতুন ৮টি মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এনসিডি কর্নারে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য স্কুল মেন্টাল হেলথ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশের সম্পদ সীমিত এবং মানসিক স্বাস্থ্যখাতে দক্ষ জনবলের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও ই-মেন্টাল হেলথ, অ্যাপভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য সেবাসহ বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা বিকেন্দ্রীকরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এই প্রক্রিয়াগুলোকে আরও বেগবান করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় মানসিক স্বাস্থ্যকে অন্তর্ভুক্ত করতে ‘স্পেশাল ইনিশিয়েটিভ ফর মেন্টাল হেলথ’ কার্যক্রমে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করায় মন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান। সম্মেলন শেষে মন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে দেশে দক্ষ জনবল সৃষ্টির জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি কোভিড মোকাবিলা ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় কমিউনিটি বেইজড মেন্টাল হেলথ সার্ভিস দিতে দেশের বিদ্যমান প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা অবকাঠামো যেমন ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক, ৪ হাজার ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সেন্টার, ৫০০ উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করার কথা বলেন। তিনি কমিউনিটির মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার জন্য ব্যক্তি নির্বাচন, তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি, অর্থায়ন ইত্যাদির ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এসব বিষয়ে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তা কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।