পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, যুক্তিসঙ্গত চিন্তার প্রসার ঘটিয়ে জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করতে বিতর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী। পাঠ্যপুস্তকের লেখাপড়ার বাইরে বিশাল জগত সম্পর্কে জানার জন্য সৃষ্টিশীল বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে তরুণ প্রজন্ম দক্ষতা অর্জন করতে পারে। যুক্তিসঙ্গত চিন্তার প্রসার ঘটিয়ে জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করতে বিতর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চাঁদপুর ডিবেট মুভমেন্ট (সিডিএম) ও চাঁদপুর সরকারি কলেজ ডিবেট ফোরামের (সিসিডিএফ) আয়োজনে, ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুপ্রেরণায় ‘শুদ্ধ চিন্তা মুক্ত থাকুক যুক্তির আশ্রয়ে’ শ্লোগানকে সামনে রেখে চাঁদপুর সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত 'ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০২২' এর সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার আজ এসব কথা বলেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, যেকোন বিষয়ে পক্ষে বিপক্ষে ধারণা যুক্তিসঙ্গতভাবে উপস্থাপনের অনন্য মাধ্যম বিতর্ক। বিতর্ক মানুষের জীবনের একটি অংশ। বিতর্ক প্রক্রিয়ায় যুক্তিসঙ্গত চিন্তাকে প্রসারিত করার পাশাপাশি জ্ঞানের ক্ষেত্র ও পরিধিকে বিস্তৃত করার মাধ্যমে দক্ষতা, পরমতসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি ও বাকপটু হতে সহায়তা করে। কোভিড পরবর্তী বিশ্বে নিওনরমাল পরিস্থিতিতে সকলে জীবন যাপন করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া, লিঙ্গ সমতা, নিরাপত্তা ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষায়িত জ্ঞানের প্রয়োজন আছে। এক্ষেত্রে, উৎকর্ষতা সাধনের মাধ্যমে বিতর্ক ভূমিকা রাখে। বিতর্কের সাথে গণতন্ত্র সুসংহতকরণের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। জাতীয় সংসদেও আইন প্রণয়নসহ সকল বিষয়ে বিতর্ক হয়ে থাকে।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরাধ্য স্বপ্ন শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণে বিতর্কের মাধ্যমে চিন্তাচেতনাকে শানিত, যুক্তিনির্ভর চিন্তার প্রসারকে আরো বিস্তৃত করে সৃজনশীল মানবিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ দেশ ও সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিতার্কিকদের ভূমিকা রাখতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান, বিশিষ্ট সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, ডা. আব্দুন নূর তুষার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, অধ্যাপক অসিত বরণ দাসকে 'সিডিএম আজীবন সম্মাননা পদক' প্রদান করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।