Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

প্রধানমন্ত্রী আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরে যেতে পারেন

| প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরে যেতে পারেন। গতকাল শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রেস সচিব বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এখন দুই দেশের কর্মকর্তারা বসে তা ঠিক করবেন। আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না এলেও আগামী ১৮ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের কথা ছিল। কিন্তু তা স্থগিতের কথা দুদিন আগেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শেখ হাসিনার এই সফর হওয়ার কথা ছিল। মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশে প্রথম সফরের পর তার আমলে শেখ হাসিনার এটাই হওয়ার কথা ছিল দ্বিপক্ষীয় প্রথম সফর। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয়ে আলোচনা করেন এম জে আকবর।
প্রেস সচিব জানান, ভারতের পরররাষ্ট্র জানিয়েছেন, নয়াদিল্লি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে অধীর আগ্রহভরে অপেক্ষা করছে।
সাক্ষাতে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে বলেন, তার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এই দুই নেতার জন্য দু’দেশের সম্পর্ক আরো প্রসারিত হয়েছে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে যে কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব, বলেন আকবর। শেখ হাসিনা ভারতের প্রতিমন্ত্রীকে বলেন, যে কোনো প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতার সম্পর্কে তা প্রভাব ফেলবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসের বিষয়ে বাংলাদেশের  ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি পূনর্ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। কোনো সন্ত্রাসী কর্মকা-ে আমরা আমাদের ভূমি ব্যবহার করতে দেবো না।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সরকার ও জনগণের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা অতি অল্প সময়ে সেদেশের সৈন্য ফেরত নেয়াকে ‘ইতিহাস’ বলে উল্লেখ করেন।  
শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে আকবর বলেন, এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার অবদান রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। জলবিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়তে পারে বলে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন অঞ্চলের সংঘাতের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আকবর বলেন, কোনো সভ্য সমাজ সন্ত্রাসবাদকে মেনে নেবে না।
গুলশান হামলাকে পরিকল্পিত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনাসহ এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে মূলত স্থিতিশীলতা নষ্ট এবং অগ্রগতির ধারাবাহিকতাকে বাধাগ্রস্ত করতে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে।
আলোচনায় শেখ হাসিনার হাঙ্গেরি সফরের সময় তুর্কমেনিস্তানে বিমানের জরুরি অবতরণের বিষয়টিও আসে। প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এনিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তুর্কমেনিস্তানে বিমানের জরুরি অবতরণের পর বিমানবন্দরে সে দেশে ভারতের রাষ্ট্রদূতের দেখা করার কথাও আকবরকে বলেন শেখ হাসিনা
সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী, মূখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং বাংলাদেশের ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ