Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিমের বাজারে সিন্ডিকেট প্রতিহত করা হবে

বিশ্ব ডিম দিবস পালিত : আলোচনা সভায় শ ম রেজাউল করিম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ডিমের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। বর্তমানে ডিমের হালি অর্ধশত টাকা। মাঝে মাঝে সেটা ৬০ টাকা হালি দরেও বিক্রি হয়। ডিম কেনা যখন ক্রেতাদের নাগালের বাইরে তখন, ‘প্রতিদিন একটি ডিম, পুষ্টিময় সারাদিন’ এ প্রতিপাদ্যে গতকাল বিশ্ব ডিম দিবস পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় ডিমের উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত নানা তথ্য আলোচনা করা ও সবার মধ্যে উপকারিতা তুলে ধরা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বর্ণাট্য র‌্যালির আয়োজন করে। এরপর উপস্থিতদের মধ্যে বিতরণ করা হয় সিদ্ধ ডিম।
বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ডিমের বাজার ব্যবস্থাপনায় সিন্ডিকেট ও মনোপলি ব্যবসার চেষ্টাকে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে। এখন দেশের সবখানে সিন্ডিকেট রয়েছে। যদিও বাজার ব্যবস্থাপনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। তারপরও যারা এ ব্যবস্থাপনায় রয়েছে, আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি। যদি কোথাও কোনো সমস্যা থাকে, সেটা প্রতিহত করা হবে। বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ডিমের বাজারে মনোপলি ব্যবসা রোধ করা হবে। কারওয়ান বাজারে ডিমের বাড়তি দাম নির্ধারণ করে সে দামে বিক্রির জন্য সব ব্যবসায়ীকে বাধ্য করার কোনো অপচেষ্টা যদি থাকে, সেটা মোকাবিলা করা হবে। কোনোভাবে জনগণকে জিম্মি করে ডিমের দাম বাড়তে দেওয়া হবে না।
মন্ত্রী বলেন, ডিমকে কেন্দ্র করে শঙ্কা দূর করা হয়েছে। কিছু সমস্যার কথা এসেছে, সেগুলো আমরা দূর করবো। ডিম ও গোশতের যে যোগান এসেছে তা আমাদের জাতি হিসেবে খাবারের চাহিদা মেটাতে সহায়তা করেছে। তারপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কারসাজি করে। সেটা আমাদের অর্জনকে ক্ষুণ্ন করছে।
তিনি বলেন, আমারা চেষ্টা করছি, মৎস্য ও প্রাণী খাতে উদ্যোক্তাদের সর্বাত্মক সহায়তা দিতে। আমরা এ খাতে কারখানা করার জন্য সহায়তা করছি। আমদানির ক্ষেত্রে উৎসে কর মওকুফ করেছি। আমাদের যতটুকু করা সম্ভব সেটা করেছি। করোনার সময় পণ্য বিক্রিসহ রফতানির জন্য সহায়তা দিয়েছি। যদিও রাষ্ট্র চাইলেও সব করতে পারে না, তারপরও সাধ্যের মধ্যে কীভাবে আপনাদের সর্বাত্মক সহায়তা করা যায় সেটা দেখবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ