পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মিরপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে পাঁচটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা চালিয়েছে ক্ষুব্ধ রিকশাচালকেরা। হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে মিজানুর রহমান নামে পুলিশের এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে মোটরসাইকেল। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে মিরপুর ১০ নম্বর আদর্শ স্কুলের সামনে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা আটকে রাখেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মিজানুর। এক পর্যায়ে ওই রিকশা চালকের কাছে টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে রিকশা ছাড়া হবে না বলে জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২৫ থেকে ৩০ জন রিকশাচালক কনস্টেবল মিজানুরের ওপর হামলা চালায়। এ সময় অপর এক ট্রাফিক কর্মকর্তা দৌড়ে পালিয়ে যান। হামলার ঘটনায় মিজানুরের মুখ থেঁতলে যায়। পরে তাকে পথচারীদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সুযোগে আটকে রাখা রিকশা নিয়ে পালিয়ে যান চালক। এ ঘটনার পর মিরপুর ১০ নম্বর ট্রাফিক পুলিশবক্সে হামলা চালায় রিকশাচালকরা। এরপর মিরপুর ১২ নম্বর, কালশী, পূরবী, সাগুফতা, মিরপুর-১ সহ কয়েকটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে একজোট হয়ে হামলা চালায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা।
স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক ও পুলিশ কনস্টেবলকে মারধরের ঘটনার পর ট্টাফিক পুলিশ ব্যাটারিচালিত রিকশা আটকের অভিযান চালানোর চেষ্টা করে। এ সংবাদ মিরপুর ও পল্লবীর বিভিন্ন এলাকার ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে বেশ কয়েকটি পুলিশ বক্স ভাংচুর করে রিকশা চালকরা।
ট্রাফিক পুলিশের পল্লবী জোনের এসি ইলিয়াস হোসেন জানান, সকালে ব্যাটারিচালিত রিকশা আটকের পর চালকরা একজোট হয়ে ট্রাকিক বক্সে হামলা চালিয়ে ৫টি পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারবে না। সে অনুযায়ী আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। কিন্তু এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রিকশাচালকরা পাঁচটি ট্রাফিক বক্সে হামলা চালায়। আহত ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার বক্তব্য অনুসারে জড়িতদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হবে। সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী, মিরপুর ও পল্লবী এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত থাকলেও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ। এছাড়া পুলিশের কাজে বাধা দেয়া ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগে হামলাকারী এবং হামলার উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।