পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামীকাল বিশ্ব ডিম দিবস।‘প্রতিদিন একটি ডিম,পুষ্টিময় সারাদিন’ প্রতিপাদ্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠন–ডিমের খাদ্যমান ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা। একইসঙ্গে ভোক্তার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ডিম অন্তর্ভুক্তি উৎসাহিত করা।
সর্বোপরি ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় প্রথম ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ পালনের আয়োজন করে।
ডিমের পুষ্টিমান:
একটি ডিমে এনার্জি -১৪৩ ক্যালোরি,কার্বোহাইড্রেট ০.৭২ গ্রাম, প্রোটিন ১২.৫৬ গ্রাম, ফ্যাট ৯.৫১ গ্রাম, ফসফরাস ১৯৮ মি.গ্রাম, পটাশিয়াম ১৩৮ মি.গ্রাম, জিঙ্ক ১.২৯ মি.গ্রাম। এছাড়াও ডিমের কুসুমে থাকে ভাল ফ্যাট এবং আয়রন ও ভিটামিন। সাদা অংশে থাকে প্রোটিন। শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি, হাড় শক্ত করতে ও মেধার বিকাশে ডিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডিমে আরও আছে ভিটামিন -এ, যা দৃষ্টি শক্তি উন্নত করে। কুসুমে থাকে ভিটামিন- ডি হাড় গঠন করে।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশনন(বিপিএ) পক্ষ থেকে ১৩ অক্টোবর (শুক্রবার) সকাল ১০টায় বসুন্ধারা কনভেনশন সেন্টারে ‘সিন্ডিকেট’ ভেঙ্গে প্রান্তিক খামারীদের রক্ষায় এক মিলন মেলার আয়োজন করা হবে।
খামার বন্ধ হওয়ার কারণ:
বিপিএ-এর সভাপতি সুমন হালদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে খামার বন্ধ হওয়ার ৪টি কারণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো; (১)অনিয়ন্ত্রিত খাদ্য, ঔষধ, বাচ্চাসহ নির্মান সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি (২) উৎপাদিত ডিমের ন্যায্য মূল্য না পাওয়া (৩) এভিয়ান ইনফ্লয়েঞ্জা,কাউল কলেরা সহ বিভিন্ন রোগে হাই মটলিটি (৪) মিডল ম্যান ও সিন্ডিকেটের পুরাপুরি নিয়ন্ত্রন।
উত্তোরণের উপায়:
এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য বিপিএর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়; পোল্ট্রি বোর্ড গঠন, ক্ষতিগ্রস্থ খামারীদের প্রনোদনা, সহজ শর্তে ঋন, সরকারী ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা, প্রান্তিক খামারীদের প্রশিক্ষণ, পোল্ট্রি জোন নামে খ্যাতি এলাকা গুলোকে পোল্ট্রি কনসালট্যান্ট নিয়োগ।
বিপিএ-এর প্রান্তিক খামারীসহ সকল উদ্যোক্তাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে মনে করে সরকার এই দাবিগুলো পূরণ বা বাস্তবায়ন করলে খামারীরা আবার সস্তায় প্রোটিন উৎপাদন ও সাপ্লাই দিতে পারবে। সেই সাথে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে অপুষ্টি, রক্তাল্পতা ও ডায়াবেটিসের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে প্রতিদিন অন্তত ১টি ডিম খাওয়া উচিৎ। ডায়াবেটিস রুগীদের সুষম পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদা ডিমে অনেকাংশে পূরন হয়। বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে আমাদের দেশও পোল্ট্রি শিল্প স্থাপনে প্রতিযোগিতায় একটি সম্ভাবনাময় সেক্টর হলেও বহুবিধ কারনে এই শিল্প বর্তমানে হুমকির মধ্যে আছে।ইতিমধ্যে ১ লক্ষ ৬০ হাজার প্রান্তিক খামারীর মধ্যে ১ লক্ষ ১০ হাজার বন্ধ হয়ে গেছে।
সম্ভাবনা:
বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ২৪ টি ডিম খাওয়া হয়। পক্ষান্তরে উন্নত দেশ গুলোতে ২৪০টি ডিম খাওয়া হয়। এই যুক্তিতে হলেও এখনও দশগুন ডিম উৎপাদন করা যায় এরফলে, আরও সস্তায় ডিম সরবরাহ করা সম্ভব বলে মনে করেন বিপিএ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।