পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হোসেন মাহমুদ : একাত্তরের ১১ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের দিন আরো ঘনিয়ে আসে। সারা দেশের মুক্তাঞ্চলসমূহে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের নেতৃবৃন্দ সফর করেন। শত্রুমুক্ত যশোরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জনসভায় প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ ভাষণ দেন। রাজধানী ঢাকা গুজবের শহরে পরিণত হয়। রণাঙ্গনের সর্বত্রই মুক্তিবাহিনীর হাতে পাকিস্তানী হানাদারদের মার খাওয়ার নানা খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে হানাদার বাহিনীর মনোবল আরো ভেঙ্গে পড়ে। পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মালিকের বেসামরিক বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী গভর্নরের সম্মতিতে আজকের এই দিনে পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও সেখানকার সকল পাকিস্তানী নাগরিককে সরিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘকে অনুরোধ জানান। তবে জেনারেল ইয়াহিয়া খান এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করায় জাতিসংঘও এ ব্যাপারে কোন উদ্যোগ গ্রহণ থেকে বিরত থাকে। যুদ্ধ অব্যাহত রাখা বা আত্মসমর্পণ প্রশ্নে উচ্চ পর্যায়ের পাক সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে মতভেদ তীব্র হয়ে ওঠে। বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইলের পুঙ্গি সেতুর কাছাকাছি এলাকায় ভারতীয় প্যারা ট্রুপারদের অবতরণ শুরু হয় এবং সেতু রক্ষায় নিয়োজিত পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর একটি ছোট দলের সঙ্গে কিছু সময় সংঘর্ষের পর হানাদাররা পালিয়ে গেলে সেতুটি মিত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। মিত্র বাহিনীর অবতরণ দেখে ভয়ে বিস্ময়ে পাকিস্তানী সৈন্যরা দ্রুত ঢাকার দিকে যাত্রা শুরু করে। দুপুরের মধ্যে পূর্ব সেক্টরের মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনী মৌলভীবাজার থেকে সিলেটের দিকে সাদিপুর ফেরীঘাট পর্যন্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। নরসিংদী পুরোপুরি শত্রুমুক্ত হওয়ায় ঢাকা দখলের লক্ষ্যে নরসিংদীকে একটি শক্তিশালী বেইজ হিসেবে গড়ে তুলতে এখানে রাত দিন হেলিকপ্টারে করে ও নদী পথে সৈন্য, কামান, গোলাগুলী, যুদ্ধের অন্যান্য রসদ ও খাদ্যদ্রব্যের মজুদ গড়ে তোলা শুরু হয়। স্থলপথে আসা যৌথ বাহিনীর দলটি আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার দিয়ে মেঘনা নদী অতিক্রম করতে শুরু করে। ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকদের নিজ নিজ দেশে ফেরার সুুযোগ দেয়ার লক্ষ্যে ঢাকা বিমান বন্দর মেরামতের জন্যে এদিন মিত্রবাহিনীর বিমান হামলা বন্ধ রাখা হয়। চট্টগ্রাম অঞ্চলে যৌথ বাহিনী চট্টগ্রাম শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে এবং সীতাকুন্ডে প্রচ- রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মাধ্যমে দখলদার বাহিনীকে হটিয়ে দিয়ে কুমিরা পর্যন্ত এগিয়ে যায়। এদিন মিত্র বাহিনী ঘোড়াঘাট দখল করে নেয় এবং গোবিন্দগঞ্জে পাকিস্তানী অবস্থানের ওপর দু’দিক থেকে প্রচ- আক্রমণ চালায়।
অনুরোধ জানান। তবে জেনারেল ইয়াহিয়া খান এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করায় জাতিসংঘও এ ব্যাপারে কোন উদ্যোগ গ্রহণ থেকে বিরত থাকে। যুদ্ধ অব্যাহত রাখা বা আত্মসমর্পণ প্রশ্নে উচ্চ পর্যায়ের পাক সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে মতভেদ তীব্র হয়ে ওঠে। বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইলের পুঙ্গি সেতুর কাছাকাছি এলাকায় ভারতীয় প্যারা ট্রুপারদের অবতরণ শুরু হয় এবং সেতু রক্ষায় নিয়োজিত পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর একটি ছোট দলের সঙ্গে কিছু সময় সংঘর্ষের পর হানাদাররা পালিয়ে গেলে সেতুটি মিত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। মিত্র বাহিনীর অবতরণ দেখে ভয়ে বিস্ময়ে পাকিস্তানী সৈন্যরা দ্রুত ঢাকার দিকে যাত্রা শুরু করে। দুপুরের মধ্যে পূর্ব সেক্টরের মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনী মৌলভীবাজার থেকে সিলেটের দিকে সাদিপুর ফেরীঘাট পর্যন্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। নরসিংদী পুরোপুরি শত্রুমুক্ত হওয়ায় ঢাকা দখলের লক্ষ্যে নরসিংদীকে একটি শক্তিশালী বেইজ হিসেবে গড়ে তুলতে এখানে রাত দিন হেলিকপ্টারে করে ও নদী পথে সৈন্য, কামান, গোলাগুলী, যুদ্ধের অন্যান্য রসদ ও খাদ্যদ্রব্যের মজুদ গড়ে তোলা শুরু হয়। স্থলপথে আসা যৌথ বাহিনীর দলটি আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার দিয়ে মেঘনা নদী অতিক্রম করতে শুরু করে। ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকদের নিজ নিজ দেশে ফেরার সুুযোগ দেয়ার লক্ষ্যে ঢাকা বিমান বন্দর মেরামতের জন্যে এদিন মিত্রবাহিনীর বিমান হামলা বন্ধ রাখা হয়। চট্টগ্রাম অঞ্চলে যৌথ বাহিনী চট্টগ্রাম শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে এবং সীতাকুন্ডে প্রচ- রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মাধ্যমে দখলদার বাহিনীকে হটিয়ে দিয়ে কুমিরা পর্যন্ত এগিয়ে যায়। এদিন মিত্র বাহিনী ঘোড়াঘাট দখল করে নেয় এবং গোবিন্দগঞ্জে পাকিস্তানী অবস্থানের ওপর দু’দিক থেকে প্রচ- আক্রমণ চালায়।
ময়মনসিংহ মুক্ত দিবসে র্যালি
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিস : ঐতিহাসিক ১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস উপলক্ষে বিজয় র্যালি করেছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। শনিবার সকাল ১১টার দিকে নগরীর ছোট বাজার মুক্ত মঞ্চের সামনে থেকে এ র্যালী বের হয়।
দীর্ঘ এ র্যালীর নেতৃত্ব দেন ধর্মমন্ত্রী প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান। র্যালীটি নগরীর গুরুত্বপুর্ণ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পুনরায় ছোট বাজার এলাকায় এসে শেষ হয়।
এ সময় ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের এমপি অ্যাড. নাজিম উদ্দিন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আনোয়ার হোসেন, সহকারী কমান্ডার মতিউর রহমান, কামাল পাশা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে এক সমাবেশে ঐতিহাসিক ১০ ডিসেম্বর নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন ধর্মমন্ত্রী।
আজ রহনপুর মুক্ত দিবস
গোমস্তাপুর উপজেলা সংবাদদাতা : আজ ১১ ডিসেম্বর (রোববার) রহনপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা সদর রহনপুর মুক্ত হয় পাকহানাদার বাহিনীর কাছ থেকে। মুক্তিযোদ্ধা তাহের আলী মন্টু জানান, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এ এলাকা ৭ নং সেক্টরের অধীন ছিল। দিবসটি উপলক্ষে গোমস্তাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড রোববার সকালে র্যালি ও আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে।
নান্দাইল মুক্ত দিবস আজ
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, আজ ১১ ডিসেম্বর। নান্দাইল মুক্ত দিবস। ১৯৭১ এর এই দিনে নান্দাইল থানা পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়েছিল। এ উপলক্ষে নান্দাইল মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।
সুন্দরগঞ্জ মুক্ত দিবস পালিত
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা ঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে উপজেলা মুক্তিযোদ্দা কমান্ডের উদ্যোগে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে গতকাল হানাদার মুক্ত দিবসের আলোচনা সভা উপজেলা বটতলী চত্বরে কমান্ডার এমদাদুল হক বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) রেজিয়া বেগম। আলোচনা পূর্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী পৌর শহর প্রদক্ষিণ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।