পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একুশে পদকপ্রাপ্ত ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এক আসামির ৭ বছর কারাদণ্ডের আদেশও বহাল রাখা হয়েছে।
সরকারপক্ষের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন সংক্রান্ত আবেদন) এবং আসামিপক্ষের আপিল শুনানি শেষে গতকাল বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম এবং বিচারপতি মো. বশিরউল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বিল্লাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, রাজু মুন্সি, রাসেল ও আফতাব আহমেদের গাড়িচালক হুমায়ুন কবির মোল্লা। ৭ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছেন সবুজ খান। তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পরপরই প্রতিক্রিয়া সন্তোষ প্রকাশ করেন আফতাব আহমেদের মেয়ে আফরোজা আহমেদ। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত রায় কার্যকরের অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, রায়টা আমরা পেলাম। আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। হাইকোর্ট যে রায় দিলেন, এটা যেন ভবিষ্যতেও বহাল থাকে এবং দ্রুতকার্যকর হয়।
হাইকোর্টে সরকারপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া মিতি। আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এস এম শাহজাহান ও হেলাল উদ্দিন মোল্লা শুনানি করেন। পলাতক আসামি রাজু মুন্সি ও রাসেলের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স) এস এম শফিকুল ইসলাম।
এর আগে, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৪ নং দ্রত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর রামপুরায় নিজ বাসা থেকে আফতাব আহমেদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হত্যার দায় স্বীকার করে হুমায়ুন কবির, হাবিব হাওলাদার ও বিল্লাল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে তারা স্বীকার করেন, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আফতাব আহমেদের বাসায় ডাকাতি করার সময় তাকে গামছা দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধে তারা হত্যা করেন। আসামি বিল্লাল হোসেন কিসলু আফতাব আহমেদের বাসার ড্রয়াল ভেঙে ৭২ হাজার টাকা লুট করেন। পরে তারা বৌবাজার নামক একটি জায়গায় এ টাকা ভাগাভাগি করে নেন। ৬৯ বছর বয়সী সাংবাদিক আফতাব আহমেদ দৈনিক ইত্তেফাকের ফটোসাংবাদিক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও পরবর্তীসময়ে অনেক দুর্লভ ছবি তোলেন। আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য ২০০৬ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।