পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্রেইন টিউমার, মস্তিষ্কের জটিলতা ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে অবস্থান করছেন শাবির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল হামিদের দুই ছেলে। তাদের চিকিৎসা জন্য জায়গা জমি বিক্রি করে দিলেও বর্তমানে চিকিৎসা ব্যয় বহনে হিমশিম খেতে হচ্ছে । এমন পরিস্থিতিতে তার হতে একদিনের বেতনসহ মোট ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দফতরের ২৬৯ জন কর্মকর্তা।
জানা যায়, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল হামিদের বড় ছেলে গত দুই বছর ধরে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত এবং দুই মাসের ছোট ছেলে জন্মের পর থেকেই মস্তিষ্কজনিত সমস্যা, হাড়ের জয়েন্ট সংক্রান্ত জটিলতা নানান রোগে আক্রান্ত। ভারতে চলছে তাদের চিকিৎসা। এদের মধ্যে শিশুটির চিকিৎসায় প্রাথমিকভাবে ১৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। সে সাথে বড় ছেলের চিকিৎসায় ব্যয় করতে হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বিক্রি করে দেন নিজের জমিও।
শাবি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি উপ-রেজিস্ট্রার মো. ইউনুস আলী বলেন, ‘সহকর্মীদের বিপদের দিনে এগিয়ে আসাই মহৎ গুণ। আব্দুল হামিদের ছেলেদের চিকিৎসায় সহযোগিতায় সহকর্মীরা পারস্পরিক আলোচনা করি। আলোচনায় সকল কর্মকর্তারা তাদের একদিনের বেতন প্রদানে সম্মতি জানায়। এর বাইরেও কয়েকজন কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে অনুদান দেন। সব মিলিয়ে ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা আব্দুল হামিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অর্থ হস্তান্তর সময়ে উপস্থিত ছিলেন, শাবি কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মখলিছুর রহমান (পারভেজ), সহ-সভাপতি পরিবহন দফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী এমরান আহমদ চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক রেজিস্ট্রার দফতরের সিনিয়র সুপারভাইজার সাহেদ আহমদ ও কোষাধ্যক্ষ সহকারি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ মঈনুল হক, কার্যনির্বাহী সদস্য অর্থ ও হিসাব দফতরে উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মুর্শেদ আহমদ, উপ-রেজিস্ট্রার (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আহমদ মাহবুব ফেরদৌসী, রেজিস্ট্রার দফতরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম (উজ্জ্বল) প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।