পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের পাইকারি পর্যায়ে নতুন দাম ঘোষণা করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। তবে পাইকারি পর্যায়ে নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়বে না কমতে পারে তা জানাবে আগামীকাল।
গতকাল মঙ্গলবার বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল এ তথ্য ইনকিলাবকে নিশ্চিত করেছেন। চেয়ারম্যান বলেন, বিতরণ কম্পানির আর্থিক অবস্থা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আর্থিক অবস্থা ও চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই আদেশ দেওয়া হবে। তবে দাম কত শতাংশ বাড়বে তা নির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি। বিদ্যুতের দাম ভোক্তা পর্যায়ে সহনীয় রাখতে সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে বিইআরসিকে ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে।
বিইআরসির সদস্য (বিদ্যুৎ) মোহাম্মদ বজলুর রহমান জানান, পাইকারি বিদ্যুতের নতুন দামের ঘোষণাটি বৃহস্পতিবার দেওয়া হবে। তবে দাম বাড়বে না কমবে সেটা বৃহস্পতিবারই জানা যাবে। তিনি বলেন, গত ১৮ মে বিদ্যুতের পাইকারি (বাল্ক) মূল্যহার বৃদ্ধি নিয়ে বিইআরসিতে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। যদিও আইন অনুযায়ী গণশুনানির ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে মূল্যসংক্রান্ত বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসাবে চলতি মাসের ১৪ তারিখ শেষ হচ্ছে বিইআরসির নির্ধারিত সময়।
দেশে বিদ্যুতের একক পাইকারি বিক্রেতা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। বিপিডিবির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনে গ্রাহক বা খুচরা পর্যায়ে বিতরণ করে দেশের পাঁচটি কম্পানি। এগুলো হলো ডেসকো, ডিপিডিসি, আরইবি, নেসকো ও ওজোপাডিকো। বিপিডিবিও পাইকারি বিদ্যুৎ বিক্রির পাশাপাশি দেশের কিছু এলাকায় সরাসরি বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
দেশজুড়ে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে লোডশেডিং। এতে গোটা বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থায় তৈরি হয়েছে অব্যবস্থাপনা। এলাকাভিত্তিক দিনে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের সূচি ওলটপালট হয়ে গেছে। এখন যখন-তখন লোডশেডিং হচ্ছে। বিশেষ করে রাতের বেলা কয়েক দফা লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি বেড়েছে মানুষের। এ অবস্থায় লোডশেডিং থেকে নিস্তার পেতে শীতের অপেক্ষায় আছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে বিদ্যুতের চাহিদা কমে গেলে লোডশেডিংও কমবে। তাই আগামী মাস থেকে সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ খাতের নীতিনির্ধারকরা। গ্যাস ও জ্বালানি তেলের অভাবে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছে না। আরেকদিকে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের পর ফের একই ধরনের ঝুঁকি এড়াতে চাহিদা ও উৎপাদন ভারসাম্য রক্ষায় কোনো কোনো কেন্দ্রে উৎপাদন সীমিত রাখতে হচ্ছে। জ্বালানি সঙ্কটের কারণে সারা দেশে বাড়ছে লোডশেডিং, ঘাটতি ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। গত এক যুগে দেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে ৯ থেকে ১১ বার। এ সময়ে পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দাম বাড়ানো হয়। ওই সময় সরকারি ভর্তুকি ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ধরে পাইকারি পর্যায়ে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। একই সময়ে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।