Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পদ অর্জন, সঞ্চয় ও বণ্টনে ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি’ তুলে ধরতে লিভিং ইসলাম সেশন আয়োজন করলো স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড সাদিক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০২২, ৬:১৩ পিএম

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড সাদিক বাংলাদেশ সম্প্রতি ব্যাংকের লিভিং ইসলাম-এর চতুর্থ সেশন আয়োজন করেছে। এবারে আয়োজনের শিরোনাম ছিল ‘সম্পদ অর্জন, সঞ্চয় ও বণ্টনে ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি’। ইসলামের আলোকে সম্পদ ও অর্থনীতি সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা অর্জনে আগ্রহীরা আয়োজনে আমন্ত্রিত ছিলেন।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড সাদিক মালয়েশিয়া’র শরিয়াহ কমিটির সদস্য মুফতি ইউসুফ সুলতান আয়োজনে নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং আলোচ্য বিষয়ে তার বক্তৃতা দেন। তিনি একজন প্রখ্যাত স্কলার হওয়ার পাশাপাশি ইসলামিক ফাইন্যান্স ও ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞ হিসেবেও সুপরিচিত। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর সিইও নাসের এজাজ বিজয়; স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর ইসলামিক ব্যাংকিং বিভাগের সিইও ও হেড অব গ্রুপ ইসলামিক প্রোডাক্ট খুররাম হিলাল; এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ইউএই-এর হেড অব ইসলামিক ব্যাংকিং ও গ্রুপ ইসলামিক ব্যাংকিং-এর হেড অব কনজ্যুমার, প্রাইভেট অ্যান্ড বিজনেস ব্যাংকিং আলী আল্লাওয়ালা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মুফতি ইউসুফ সুলতান ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গিতে আর্থিক বিষয়গুলো বোঝার ও সম্পাদনের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন। সম্পদ অর্জন ও বণ্টনের ক্ষেত্রে এবং সাম্প্রদায়িক কল্যাণে মুসলমানদের দায়বদ্ধতা সম্পর্কেও তিনি আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “ধন-সম্পদের চূড়ান্ত মালিক হলেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা, যেখানে মানুষ শুধুমাত্র সেসবের দেখ-রেখকারী। তাই একজন মুমিনকে অবশ্যই ইসলামের শিক্ষা মেনে চলতে হবে এবং ইসলামের আলোকে সম্পদ উপার্জন ও ব্যয় করতে হবে। ইসলাম পরিশ্রমের মাধ্যমে (চাকুরি, ব্যবসা) সম্পদ উপর্জনে উৎসাহ প্রদান করে এবং অলসতাকে কখনোই সমর্থন করে না।”

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও হেড অব কনজিউমার, প্রাইভেট অ্যান্ড বিজনেস ব্যাংকিং; সাব্বির আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশে ইসলামিক ফাইন্যান্সের প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদা ক্রমবর্ধমান। শরিয়াহ মোতাবেক আর্থিক লেনদেন সম্পাদনে ইসলামী ব্যাংকিং ইতিবাচক প্রভাব ও ভূমিকা পালন করবে। আমরা সারা জীবন ধরে সম্পদ উপার্জন ও সঞ্চয় করি। তবে অভাবী ও হতদরিদ্রের মাঝে সেই সম্পদ পর্যপ্ত পরিমাণে বণ্টনও করতে হয়। মুফতি ইউসুফ সুলতানের মতো একজন গুণী স্কলারের কাছ থেকে এসব বিষয় শেখার সুযোগ পেয়ে আমরা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছি।”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ