এফ আর টাওয়ারের ঘটনা : জামিন পেলেন বিএনপি নেতা তাসভীর
রাজধানীর বনানীতে এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা তাসভীরউল ইসলাম জামিন পেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মো.তোফাজ্জল হোসেন জামিনের আদেশ
বাজারে তো হরেকরকমের পণ্য পাওয়া যায়। কিন্তু প্রতিটি কোম্পানিই চায় তার পণ্যটি অন্যসব পণ্য থেকে আলাদাভাবে বাজারে পরিচিতি পাক। আর এই পরিচিতি আসে ব্র্যান্ডের মাধ্যমে। কোনো পণ্যের ব্র্যান্ড বলতে আমরা বুঝি পণ্যের বাজারে জনপ্রিয়তা ও পরিচিতিকে। কোনো বড় কোম্পানির উৎপাদিত পণ্য বা বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের পণ্য ক্রেতা বা ভোক্তাদের কাছে সুপরিচিত করার জন্য একটি নির্দিষ্ট বিভাগ কাজ করে থাকে যা ব্র্যান্ড ডিভিশন নামে পরিচিত।
নির্দিষ্ট পণ্যের পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা প্রতিষ্ঠিত করতে যারা কাজ করে তাদেরকেই বলা হয় ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভ। এই ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভের কাজের ক্ষেত্রটা অল্প নয়। একটি পণ্যকে বাজারে পরিচিত করতে হলে সেই পণ্যটি যে অন্য সব পণ্য থেকে ভালো আগে তা সুনিশ্চিত করতে হবে। আর তা করার জন্য অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিজের প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বাজার নিশ্চিত করতে হবে।
শুধু পণ্যের মান ভালো রাখলেই হবে না, পণ্যের বাজারজাতকরণও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। তাই পণ্যের সঠিক বাজারজাতকরণ করার জন্য পরিকল্পনামাফিক কাজ করতে হবে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আর পরিকল্পনামাফিক কাজ করার জন্য যা করতে হবে তা হলো প্রথমেই ক্রেতাদের চাহিদা কতখানি তা জানা, বাজারে একটি নতুন পণ্য ছাড়লে তা কতোটা গ্রহণযোগ্যতা পাবে তা যাচাই করা, পণ্যের আকার বা সাইজ কেমন হবে বা আকারের মধ্যে ভিন্নতা আনা যায় কী-না এবং তা ছোট বা বড় কোন মোড়কে হবে তা নির্ধারণ করা। পণ্যটি বাজারজাত করার জন্য কি কি কৌশল বা বিজ্ঞাপন দেয়া যায় তা চিন্তা করা, পণ্যভেদে ক্রেতাগোষ্ঠী আলাদা হয়ে থাকে, তাই সেই অনুযায়ী ক্রেতাগোষ্ঠী নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়াও পণ্যের মূল্য কেমন হবে বা প্রথম অবস্থায় কোনো বিশেষ মূল্য ছাড় দেয়া হবে কী-না তাও নির্ধারণ করতে হবে। অর্থাৎ পণ্য বাজারজাতকরণ ও পণ্যটির পরিচিতি লাভের জন্য সব ধরনের দায়িত্ব পালন করতে হয় একজন ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভকে।
ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভ হতে চাইলে
যেহেতু ব্র্যান্ড মার্কেটিংয়ের একটি সেক্টর তাই বিবিএ এবং এমবিএ তে মার্কেটিংয়ে মেজর করলে বা পড়াশোনা করলে ব্র্যান্ডিংয়ের অনেক কিছুই জানা হয়ে যায়। এছাড়া ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভ হিসেবে একজন ব্যক্তিকে ক্যারিয়ার শুরু করতে হলে তাকে অবশ্যই কমপক্ষে ¯œাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। তবে এই পেশাতে শুধুমাত্র শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করলেই চলবে না পাশাপাশি থাকতে হবে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস। এই পেশায় কাজ করতে হলে একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই সৃজনশীল চিন্তাশক্তির অধিকারী হতে হবে। এই পেশায় উপস্থিতি লাভ করতে হলে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সঠিক বাস্তবায়নের দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর সবচেয়ে বেশি যেই জিনিসটায় সক্ষম হতে হবে তা হলো পরিশ্রম করার মানসিকতা, যা এই পেশার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ও বেতন সুবিধা
বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা পণ্য বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ড বিভাগে মার্কেটিংয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে এমন প্রার্থীদের নির্বাচিত করে থাকে এবং প্রথমে সাধারণত ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভ অথবা ট্রেইনি অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়। পরবর্তীতে কাজের দক্ষতার মাধ্যমে নিজ যোগ্যতা অনুসারে ২-৩ বছরের মধ্যে ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভ থেকে সিনিয়র ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভ এবং এরপর অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার এবং পরে ম্যানেজার হিসেবে পদোন্নতি লাভের সুযোগ রয়েছে। ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভ হিসেবে একজন প্রার্থীকে প্রতিষ্ঠানের আকার এবং ব্যবসা অনুসারে প্রথমেই ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেতন দেয়া হয়ে থাকে। সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও দেয়া হয়। কাজে সফলতা অর্জন করতে পারলে ৩-৪ বছরের মধ্যে বেতনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। আর যদি পদোন্নতি লাভ করতে পারেন তাহলে ৫-৭ বছর পরে আপনার বেতন হবে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। মাল্টি ন্যাশনাল বা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অবশ্য আরো ভালো বেতন কাঠামো আশা করতে পারেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভালো কাজ দেখাতে পারলে বছর তিন-চারেকের মধ্যেই আপনার বেতন লক্ষাধিক টাকা হয়ে যেতে পারে। মোট কথা, এই পেশায় আপনার দক্ষতা প্রমাণ করতে পারলে আপনাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
১ রবিউল কমল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।