Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নারীদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে -প্রধানমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : কেবল মুখে অধিকারের কথা না বলে নারীদের তা আদায় করে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমাদের সমাজের অর্ধেক সদস্য নারী; তারা শিক্ষাবঞ্চিত থাকলে সমাজ কখনো গড়ে উঠতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, তার সরকার শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে চায়। যাতে প্রত্যেক নারী অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হয় এবং উন্নত জীবনযাপন করতে পারে। নিজের সংসার ও সমাজকে যেন গড়ে তুলতে পারে।
গতকাল শুক্রবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস ও রোকেয়া পদক-২০১৬ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সবার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু মুখে বললে হবে না। আমাদের অধিকার দাও, অধিকার দাও বললে হবে না, আমাদের অধিকার দেবেটা কে? অধিকার আদায় করে নিতে হয়, অধিকার সহসা হয় না। পুরুষশাসিত সমাজ আমাদের। তিনি বলেন, আমাদের পুরুষ সদস্যদের মনে রাখতে হবে মায়ের কোলে বড় হতে হয়, বোনের হাত ধরে হাঁটা শিখতে হয়, স্ত্রী রান্না-বান্না করে সেবা করে আর বৃদ্ধ বয়সে মেয়েই সেবা করে। কাজেই মেয়েদের অবহেলার করার কোনো সুযোগ নেই।
সমাজের অর্ধেক নারী সস্যের উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজের অর্ধেক নারী। সেই অর্ধেক যদি শিক্ষা-দীক্ষায় উন্নত না হয়, সেই সমাজ কখনোই গড়ে উঠতে পারে না। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, পরনির্ভরশীলতা না, এটাই সবথেকে বড় কথা। প্রতিটি সরকারি প্রকল্পে নারীদের অগ্রাধিকার দেয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে নারীদের সম্পৃক্ত করতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শতবর্ষ আগের সমাজ বাস্তবতায় বেগম রোকেয়া তখনই বুঝতে পারেন, নারীকে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েই মুক্তি অর্জন করতে হবে। শিক্ষাই হল সেই স্বণির্ভরতার সোপান। আমরা সবসময় এটাই বিশ্বাস করি যে, শিক্ষা ছাড়া প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্যই শিক্ষার প্রতি আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের দিনে সকলকে অভিনন্দন জানাই এবং সকলের কাছে আমি আমার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্য দোয়া চাই। আজকে তার জন্মদিন। দোয়া করবেন, সে যা কাজ করে যাচ্ছে তাতে যেন সফল হয়। এদেশের প্রতিবন্ধী বা অটিস্টিক যারা তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান, তাদের জীবনকে অর্থবহ করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমি আপনাদের কাছে তাদের জন্যও দোয়া চাই।
প্রধানমন্ত্রী আগামীতে রোকেয়া পদক দুইজনের স্থলে ৫ জনকে দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তেরও উল্লেখ করে বলেন, আগামীতে দু‘জন নয়, ৫ জনকে রোকেয়া পদক প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারণ প্রতিবছর আমরা রোকেয়া পদক দিচ্ছি মাত্র দুজনকে। অথচ আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আজকে মেয়েরা যথেষ্ট অবদান রাখছেন। তৃণমূল পর্যায় থেকে যারা অত্যন্ত সীমিত সুযোগ নিয়ে নারী শিক্ষায়, নারী জাগরণে, নারীর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে আমরা তাদেরকেই পুরস্কৃত করতে চাই। একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকেই তাদেরকে খুঁজে আনতে চাই এবং পুরস্কারের এই সংখ্যাটি আমরা বাড়াতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরস্কারটি আর কিছু নয়, এটি একটি উৎসাহ দেয়া বা প্রেরণা দেয়া, একটা সম্মান  দেয়া। কাজেই আজকে যারা পুরস্কার পেয়েছেন তাদেরকে আমি সম্মান জানাচ্ছি এবং আমাদের নারী জাগরণে আপনারা আরো এগিয়ে আসবেন, সেটাই প্রত্যাশা।
শেখ হাসিনা বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন কেবল শহর পর্যায় থেকে নয়, তৃণমূল থেকেই যেন হয়, সেই পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। এজন্য নারীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আমরা করে যাচ্ছি। নারীদের কর্মক্ষেত্র সম্প্রসারণ করার এবং বিভিন্ন ধরনের কাজ যেন তারা করতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি এবং বিভিন্ন ট্রেডে তাদের ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। যেমন- মৎস্য চাষ, কৃষি, হাঁস ও মুরগী পালন, হাউজ কিপিং অ্যান্ড কেয়ার গিভিং, বিউটিফিকেশন, মাশরুম চাষ, রন্ধন প্রক্রিয়াকরণ ও বিপণন, বেসিক কম্পিউটার, আধুনিক গার্মেন্টস, মধুচাষ, লন্ড্রি, এমব্রয়ডারি, ড্রাইভিং, ছোট-ছোট যন্ত্রপাতি মেরামতকরণ বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, বেগম রোকেয়ার নিজের লেখা কাব্যগ্রন্থে নারীর মুক্তিতে  তার দর্শনের পরিচয় পাওয়া যায়। জাগরণের কাজ ‘কঠিন সাধনার’ মন্তব্য করে তিনি লিখেছিলেন- ‘কোন ভাল কাজ অনায়াসে হয় না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর তার সরকার ইউনিয়ন পর্যায়ে সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর এবং পরবর্তীতে উপজেলা পর্যায়ে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ সৃষ্টি করে। দু’জন ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান থাকতে হবে। উন্নয়নের জন্য যেসব কমিটি হবে সেসব কমিটিরও অন্তত ৫টি কমিটিতে নারীরা চেয়ারম্যান থাকবে। যাতে তারা উন্নয়নের কাজে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার একজন নারী, সংসদ নেতা, সংসদ উপনেতা ও বিরোধীদলীয় নেত্রীও নারী। জাতীয় সংসদের চারটি গুরুত্বপূর্ণ পদই নারীরা দখল করে আছে।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হবেন মেয়েরা এটা কেউ কোনদিন স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। যাহোক, আমি উদ্যোগ নেই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী ভিসি-প্রো-ভিসি নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি এবং আছেন, তারা কিন্তু খুব ভালোও করছেন। এমনকি আমরা বুয়েটেও দিয়েছিলাম (নারী ভিসি) কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য তিনি হঠাৎ ক্যান্সারে মারা যান।
বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী প্রো-ভিসি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যতেও আরো মহিলাকে দায়িত্ব দেয়ার ইচ্ছা আছে। কারণ, আমরা দেখেছি মহিলাদের দায়িত্ব দিলেই তারা ভালোভাবে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চালাতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগে প্রথম হাইকোর্টের মহিলা জজ আমরা আওয়ামী লীগ সরকারই নিয়োগ দেই। প্রেসিডেন্টকে বলেই আমি এটা করাই। এখনতো অ্যাপিলেট ডিভিশন পর্যন্ত এবং আমাদের সরকারের সময়ই এটা হয়েছে। প্রশাসনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের মেয়েরা অবদান রাখছে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা যেমন বর্ডার গার্ডে মেয়েদের নিয়োগ দেয়া শুরু হয়েছে। আমাদের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীতে পূর্বে কিন্তু মেয়েদের কোন স্থান ছিলো না। ’৯৬ সাল থেকেই আওয়ামী লীগ সরকার সেটা শুরু করে। এখন প্রতিটি বাহিনীতেই আমাদের মেয়েরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। আমাদের মেয়েরা কিন্তু ফাইটার প্লেনও চালাচ্ছে। তারা দুর্গম গিরিশৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করেছেন। আমাদের মহিলা দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, দাবা ও ফুটবল খেলছে। দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, তথ্য-প্রযুক্তি, সশস্ত্রবাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী, গণমাধ্যম, ক্রীড়া জগতসহ সব চ্যালেঞ্জিং কাজে নারীদের পেশাদারিত্ব প্রশংসনীয়।
শেখ হাসিনা বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে তার সরকারের ব্যাপক কার্যক্রমের সাফল্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একের পর এক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্টে বিশ্বের ১৪২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৬৮তম স্থানে রয়েছে। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ৭ম স্থান অর্জন করেছে।
শিক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ছেলেদের চেয়ে এখন মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। মহিলা শিক্ষিকার সংখ্যাও বেশি। জেন্ডার সমতা নিয়ে যারা কথা বলেন তাদের বলি, আমাদের দেশে ঘটনা কিন্তু উল্টো। স্কুলগুলোতে মেয়েদের সংখ্যা ছেলেদের চেয়ে বেশি। এখন ভাবতে হচ্ছে ছেলেদের সংখ্যাও আবার কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়।
সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পগুলোতে বাধ্যতামূলক অগ্রাধিকার রয়েছে। এছাড়া এসএমই ফাউন্ডেশন থেকে সহজে ঋণ দেয়া হচ্ছে, এতে তারা ব্যবসার প্রসার ঘটাতে পারছেন।
নারী উন্নয়নে জাতির পিতার পদক্ষেপের উল্লেখ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পুনর্বাসন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে ‘নারী পুনর্বাসন বোর্ড’ গঠন করেন। এ কাজে তাকে নেপথ্যে থেকে সর্বাঙ্গিন সহায়তা করেন আমার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বর্তমানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতাধীন জাতীয় মহিলা সংস্থা দেশের ৬৪টি জেলা এবং ৪২৮টি উপজেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতার সাড়ে তিন বছরের শাসনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমাদের সরকার  দেশে নারী জাগরণে বিপ্লব ঘটিয়েছে। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ এখন নারী উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
সরকারের নারী উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন করেছে। মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ স্ববেতনে ৪ মাস থেকে ৬ মাসে বর্ধিত করা হয়েছে। সন্তানের পরিচয়ের ক্ষেত্রে মায়ের নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৫০ করা হয়েছে। পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন-২০১০ এবং পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) বিধিমালা-২০১৩-এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। ডিএনএ আইন-২০১৪ গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে কার্যকর হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে যুগব্যাপী জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০১৩-২০২৫) প্রণয়ন করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৬ জাতীয় সংসদে অনুমোদন হয়েছে।  যৌতুক নিরোধ আইন-১৯৮০ সংশোধন করে যৌতুক নিরোধ আইন-২০১৫ প্রণয়ন করা হচ্ছে। ৪০ লাখ নারীশ্রমিক গার্মেন্টসে কাজ করে। দু’দফায় তাদের বেতন সর্বসাকুল্যে শতকরা ২১৯ ভাগ বাড়িয়ে ১ হাজার ৬৬২ টাকা থেকে ৫ হাজার ৩শ’ টাকা করেছি। মহিলা উদ্যোক্তারা পুরুষদের  থেকে ৫ থেকে ৬ শতাংশ কম সুদে ঋণ পাচ্ছেন।
দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করা। ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল থেকে গার্মেন্টসে কর্মরত স্তন্যদায়ী ও গর্ভবতী মাকেও ভাতা প্রদান। দেশের ৬৪টি জেলায় ৪৮৯টি উপজেলার ৪ হাজার ৫৪৭টি ইউনিয়নে দুস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভিজিডি) কর্মসূচি চাল, ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) সেপ্টেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত ২৩ হাজার ৮৮৮ জন নারীকে সেবা প্রদান, মহিলা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ১৭ হাজার ৬৩৯টি সমিতিতে সরকারি অনুদান প্রদান-প্রভৃতি সরকারি উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুস্থ নারীদের জন্য সার্বক্ষণিক হেল্পলাইন চালু, বিধবা ও নিগৃহীত মহিলা ভাতা প্রাপ্তদের সংখ্যা ১০ দশমিক ১২ লাখ থেকে ১১ দশমিক ১৩ লাখে উন্নীত করা এবং সন্তান সম্ভবা ও ধাত্রী মায়ের ভাতাও ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, নারী ও পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশকে একটি উচ্চ-মাধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো- এটিই হোক রোকেয়া দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম। অনুষ্ঠানে নারী উন্নয়নে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আরোমা দত্ত এবং বেগম নুরজাহানকে ‘রোকেয়া পদক ২০১৬’ প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে দুই লাখ টাকার চেক, ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের পদক ও সনদপত্র বিজয়ীদের হাতে তুলে  দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরস্কার প্রদানকালে দুইপদক বিজয়ীর জীবনী পড়ে শোনান মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম।
আলোচনা পর্ব শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিল্পকলা একাডেমীর পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘জ্বালাও বহ্নিশিখা’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।



 

Show all comments
  • ওবায়েদুল ইসলাম ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১:৪৩ এএম says : 0
    দেশে উন্নয়নের জন্য নারী পুরুষ সকলের অবদান প্রয়োজন।
    Total Reply(0) Reply
  • শরীফ ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৪:৩৫ পিএম says : 0
    মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ স্ববেতনে ৪ মাস থেকে ৬ মাসে বর্ধিত করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • Khairul ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৪:৪৬ পিএম says : 0
    Go ahead Bangladesh.
    Total Reply(0) Reply
  • Mahmudul Hasan ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৪:৪৭ পিএম says : 0
    বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ এখন নারী উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ