পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাম তেলে লিটারে কমলো ৮ টাকা, আর চিনি কেজিতে বাড়লো ৬ টাকা। আজ শুক্রবার থেকে এ দাম কার্যকর হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
তিনি জানান, পাম তেলের দাম পুনঃনির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আগে লিটারে ১৩৩ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন ১২৫ টাকা করা হয়েছে। এতে লিটারে কমলো ৮ টাকা। তাছাড়া, চিনির দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে। খোলা চিনি ৯০, প্যাকেট ৯৬ টাকা দরে বিক্রি হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া পাম তেলের মিলগেট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ টাকাও পরিবেশক মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ১২২ টাকায়। খোলা চিনির মিলগেট মূল্য ৮৫ টাকা ও পরিবেশক মূল্য ৮৭ টাকা। প্যাকেট চিনির মিলগেট মূল্য ৯০ টাকা ও পরিবেশক মূল্য ৯২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাম অয়েল খোলাবাজারে পাওয়া যায় না, সয়াবিন তেল হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে, সেটা নিয়ন্ত্রণে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কি না, সভাশেষে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যসচিব বলেন, এক্ষেত্রে শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটা আইন আছে। সেই অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয় এটা দেখে থাকে, পাম অয়েল প্যাকেটে বিক্রি হবে নাকি খোলা বিক্রি হবে। সয়াবিনের জন্য চলতি বছরের ৩১ জুলাই ছিল শেষ তারিখ। ৩১ ডিসেম্বর হচ্ছে পাম অয়েলের জন্য।
তিনি বলেন, যেহেতু ওই সময়ে তেলের দাম অনেক বেশি ছিল। সেজন্য উচ্চপর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয় সয়াবিনের ক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে দেওয়া। কারণ প্যাকেট সবাইকে করতে হলে একটু দাম বেশি পড়বে। যেহেতু তেলের দাম কমে যাচ্ছে, তাই কিছুদিনের মধ্যে এটা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবো। সেক্ষেত্রে সয়াবিন খোলা পাওয়া যাবে না। আর পাম অয়েলের জন্য সময় আছে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আমরা দেখবো ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা যায় কি না।
ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে ৯টি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ প্রসঙ্গে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, তার অংশ হিসেবে এ মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হলো। রড-সিমেন্টের দামের কথা বেশি আলোচিত হয়েছিল। সেটা নিয়ে তারা কাজ করছে। বিভিন্ন তথ্য নিতে হয়। চাল, আটাসহ অন্য সব পণ্য নিয়ে কৃষিপণ্য বিপণন আইন ২০১৮ রয়েছে। সেই অনুযায়ী কৃষি মন্ত্রণালয় দাম নির্ধারণ করবে। এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি।
তিনি আরও বলেন, ১৯৫৬ সালের আইন অনুযায়ী কিছু পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার ক্ষমতা সরকারের আছে। কিন্তু ২০১৮ সালের আইন অনুযায়ী-এ ৯টি পণ্যসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কৃষি মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করবে। এ বিষয়ে আমাদের সমন্বয় করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।