Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় নাশকতা কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে : সাংবাদিকদের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০২২, ১২:১৪ এএম

 জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে বিপর্যয় নাশকতা কিনা, তা যাচাই-বাছাই চলছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তদন্ত কমিটির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট কবে পাওয়া যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি যে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই রিপোর্টগুলো আসবে।

নসরুল হামিদ বলেন, এখানে দুটো জিনিস। একটা হলো এখনো পলিটিক্যাল পার্সনদের কাছে যেটা শুনতেছি, এরকম ঘটনা আরও হবে। এটা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বললেন। আরও হবে এর মানে কিন্তু এখানে অন্যরকম ষড়যন্ত্রের কথা। উনি জানেন কীভাবে? জানেন কীভাবে ভবিষ্যতে আরও হবে, এত বছর হলো না। যে ব্যক্তিটা তার নিজের আমলে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে পারেননি ট্রান্সমিশনের লাইনতো বাদই দিলাম। একমাত্র খাম্বা এবং পুল ছাড়া কিছুই লাগাতে পারেনি। উনি কিন্তু পÐিতের মতো কথা বলে দিলেন, এরকম ঘটনা আরও হবে। এখানে কোনো অন্যরকম নাশকতা আছে কিনা, সেটাও যাচাই-বাছাই চলছে। এটা হচ্ছে একটা বিষয়। আর দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে অবশ্যই টেকনিক্যাল সাইটটাও আমরা দেখতেছি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের ঘটনাটি ছিল একরকম। আর এই ঘটনাটি অন্যরকম। দুইটা দুই রকম ঘটনা। ওইখান থেকে যা নেওয়ার তার থেকে অনেক দূর পিজিসিবি অ্যাডভান্স লেভেলে চলে গেছে। পাওয়ার রিস্টোর করতে মানে কত দ্রæত আনতে পারি, বিভিন্ন উন্নত বিশ্বে কয়েক দিন আগে রেকর্ড আছে, তিন দিন-চার দিন লেগে গেছে কিন্তু আমরা সেদিকে যাচ্ছি না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার কারণে কিন্তু আমরা দ্রæততার সঙ্গে আনতে (রিস্টোর) পেরেছি। এক ঘণ্টা পর থেকেই কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছিল রিস্টোর করা। এটা একটি বড় জিনিস, অবশ্যই টেকনিক্যাল ফল্ট এখানে আছে। একদম পিন টু পিন যদি আমি আমরা ধরতে যাই, তাহলে একটু সময় লাগবে। এ কারণে আমি দুটি কমিটি করে দিয়েছি। একটি কমিটিতে বিদ্যুৎ বিভাগের ভেতরের লোক আরেকটি কমিটিতে হলো বিদ্যুৎ বিভাগের বাইরের লোক।
এসব ঘটনার রোধ করার জন্য আপনারা কি করবেন- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে আমরা ঘণ্টাখানেক সময়ের পর থেকে আস্তে আস্তে বিদ্যুৎ রিস্টোর করা শুরু করি। এটা ম্যানুয়ালি করা হয়েছে। এটার বড় জিনিস হচ্ছে আমাদের এখন অটোমেশনে যেতে হবে এবং আমরা কাজ শুরু করেছি। হয়তো আগেই করতে পারতাম কিন্তু কোভিডের কারণে দুইটি বছর পিছিয়ে গেছি। মানে এটা শেষ হতে হয়তো আরো দুই বছর লাগবে।
তিনি বলেন, গ্রিডকে স্মার্ট গ্রিডে পরিণত করা, এটা একটি বড় বিষয় এ মুহূর্তে। ২০২৪ সালের মধ্যে আমাদের নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট চলে আসবে। আরও প্রায় হাজার খানেক মেগাওয়াট আমাদের সোলার যোগ হবে, বড় বড় পাওয়ার প্লান্টগুলো যোগ দিতে যাচ্ছে। একটার পর একটা। এ কারণে আমি মনে করি খুব দ্রæততার সঙ্গে অটোমেশনে গেলে পরে আরও স্ট্যাবল আমরা করতে পারবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ