Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চক্রাকার অর্থনীতিতে তৈরি পোশাক শিল্পের স্থানান্তর সহজতর করার জন্য ‘ক্রিয়েট’ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০২২, ৯:০৪ পিএম

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অন্যতম অগ্রাধিকার হচ্ছে টেকসই উন্নয়ন, যেখানে ব্যবসায়িক মডেলগুলোতে সার্কুলারিটি অন্তর্ভূক্ত করার জন্য অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা গ্রহন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “বিজিএমইএ এর কৌশলগত রূপকল্প ২০৩০ এর মূলে রয়েছে সার্কুলারিটি এবং আমরা এসডিজি ১২ এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে টেকসই উপাদানের মিশ্রণ ৫০% বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

তিনি ০৬ অক্টোবর ২০২২ ঢাকায় সার্কুলার ইকোনমি ইন বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইন্ডাষ্ট্রি (ক্রিয়েট) প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (অটঝঞ), স্কুল অব বিজনেস এবং অ্যালবার্গ ইউনিভার্সিটি (অঅট) বিজনেস স্কুল যৌথভাবে ক্রিয়েট প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো পোশাক শিল্পের সাথে যুক্ত বৈশ্বিক পোশাক ভ্যালু চেইনে সার্কুলার ইকোনমিতে গমন বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যক্ষেণ করা এবং এ ব্যাপারে কার্যকর নীতি প্রণয়ন করা।
পোশাক শিল্পে সার্কুলার ইকোনমি বিষয়ে সবচেয়ে বড় গবেষণা-ভিত্তিক, নীতি-উন্নয়ন প্রকল্প হওয়ায় ক্রিয়েট এর লক্ষ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন করা এবং বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন শিল্পে সামাজিক ও অর্থনৈতিক টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখা।

ক্রিয়েট প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহনকারীরা এবং প্রতিনিধিরা যোগ দেন। অংশগ্রহনকারীরা অটঝঞ প্রাঙ্গনে ইফজঊঘ কনফারেন্স রূম থেকে অ্যালবার্গ ইউনিভার্সিটি বিজনেস স্কুলের সাথে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন, যেখানে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছিলো ।

ফারুক হাসান তার বক্তব্যে বলেন, ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প সার্কুলারিটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, “আমি আশা করি, এই ক্রিয়েট প্রকল্পটি আমাদের বৈশ্বিক ভ্যালু চেইন বুঝতে সহায়তা করবে এবং টেকসই উৎপাদন ও ভোগের উন্নয়নের জন্য বাজারভিত্তিক সমাধানগুলোর বিকাশ ঘটাবে।”

তিনি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সক্ষমতা ও শক্তি তুলে ধরতে বিজিএমইএ এর উদ্যোগে ১২-১৮ নভেম্বর ২০২২ ঢাকায় আয়োজিতব্য ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ এ যোগদানের জন্য অনুষ্ঠানের অতিথি ও অংশগ্রহনকারীদের আমন্ত্রন জানান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মর্টেন থিসেন, ভাইস মেয়র, অ্যালবার্গ, ডেনমার্ক; প্রফেসর ক্রিশ্চিয়ান নিলসেন, হেড অব এএইউ বিজনেস স্কুল; প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ফাজলি ইলাহী, ভাইস চ্যান্সেলর, আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি; প্রফেসর রাসমাস এনটফ্ট, ডিন, এসএসএইচ (মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ), অ্যালবার্গ ইউনিভার্সিটি; প্রফেসর লিন্ডসে হুইটফিল্ড, কোপেনহেগেন বিজনেস স্কুল, ডিকে; প্রফেসর মোহাম্মদ এ. মোমেন, পরিচালক, ইনষ্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন (আইবিএ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; থমাস ক্লাউসেন, সিইও, ড্যানিশ ফ্যাশন এন্ড টেক্সটাইল (ডিএমএন্ডটি), ডিকে; অধ্যাপক গ্যাব্রিয়েল আর জি বেনিটো, বিআই নরওয়েজিয়ান বিজনেস স্কুল, নরওয়ে; প্রফেসর সেভটেলা মারিনোভা, হেড অব ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস রিসার্চ গ্রুপ, এএইউ বিজনেস স্কুল, প্রফেসর মোহাম্মদ আমানুল্লাহ, স্থানীয় প্রকল্প সমন্বয়কারী এবং এইউএসটি ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের প্রাক্তন ডিন।

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন প্রকল্প নেতা মোহাম্মদ রানা, এসোসিয়েট প্রফেসর, এএইউ বিজনেস স্কুল, ডিকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ