পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ কথা সত্য যে, রাসূলে পাক (সা:) শৈশবে বা যৌবনে কখনো তাওহীদ পরিপন্থী ক্রিয়াকর্মে অংশগ্রহণ করেননি। একবার কুরাইশগণ কোনো দেবতার নামে নিবেদিত ভোগ তথা খাদ্যদ্রব্য রাসূলে পাক (সা:)-কে খাওয়ার জন্য অনুরোধ করলে তিনি তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। খ্রিষ্টান লেখকগণ লেখেছেন যে, নবুয়ত লাভের পরই তাঁর আচরণ, বিশ্বাস ও ধ্যান ধারণার পরিবর্তন ঘটেছিল। তার পূর্বে সবকিছু অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশীদের অনুরূপ ছিল। এটা ডাহা মিথ্যা কথা। এটা তাদের অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়। খ্রিষ্টান লেখকরা হযরত খাদিজা (রা:) সম্পর্কেও বহু মিথ্যা কথা লিখেছেন। যেগুলোর কোনো হদিস খুঁজে পাওয়া যায় না। আর যায় না বলেই আমরা জ্ঞানানুসন্ধানীদের অনুরোধ করব যিনি সর্বশেষ নবী ও রাসূল, সর্বশেষ আসমানি কিতাব আল-কোরআন যার ওপর নাজিল হয়েছে তাঁর সম্পর্কে কোনো উক্তি করার আগে ভালোভাবে নিজেকে ঝালাই করে নেয়া দরকার। অন্যথায় বেইমানীর শাস্তি পেতেই হবে। আর এতেও কোনো সন্দেহ নেই যে, রাসূলে করীম (সা:)-এর নবুয়ত লাভের পূর্বেই আরবে করুণাময় আল্লাহর কৃপারাশির বিচ্ছুরণ ঘটেছিল।
তাই দেখা যায়, কায়েস বিন সায়েদা, ওয়ারাকা বিন নাওফেল, ওবায়দুল্লাহ বিন জাহাম্ম, ওসমান বিন হুয়ায়রিছ এবং যায়েদ বিন আমর বিন নুফাইল প্রমুখ বিখ্যাত জ্ঞানি ব্যক্তিগণ মূর্তিপূজার প্রতি বীতশ্রদ্ধ ছিলেন এবং তারা কখনো মূর্তিপূজা করেননি। তাদের সাথে প্রায়ই রাসূলে পাক (সা:)-এর সাক্ষাৎ ঘটেছে এবং তারা তাঁর নির্মল চরিত্র ও সততা এবং আমানতদারি দেখে তার প্রশংসা করেছেন, আনন্দিত হয়েছেন। মোট কথা, নবুয়তের আগে যারা রাসূলে পাক (সা:)-এর বন্ধু-বান্ধব ছিলেন, তারা সবাই চরিত্রবান, মর্যাদাশীল ও বিশেষ সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। এদের মধ্যে হযরত আবু বকর (রা:) ছিলেন সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য। তিনি রাসূলে করীম (সা:)-এর সার্বিক সহচর ও একান্ত দোসর ছিলেন। হযরত খাদীজা (রা:)-এর চাচাত ভাই হাকিম বিন হিজাম কুরাইশ গোত্রের এক সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। তিনিও ছিলেন রাসূল (সা:)-এর প্রিয় বন্ধু। হেরেমের নেতৃত্ব ও দারুন নুদওয়ার পরামর্শ সভার কর্তৃত্ব তারই হাতে ছিল। বয়সের দিক থেকে তিনি রাসূলে পাক (সা:)-এর পাঁচ বছরের বড় ছিলেন। সুতরাং রাসূলে পাক (সা:)-এর নবুয়ত লাভের পূর্ববর্তী জীবন ছিল সুন্দর, মনোহর, পুতঃপবিত্র, নিষ্কলুষ ও নূরানী যিন্দেগী। যে যিন্দেগীর প্রভায় তমসাচ্ছন্ন আরবকে সত্য, সুন্দর ও পবিত্র করে তুলেছিল এবং তিনি ছিলেন সবার প্রিয় আস্-সাদিক, আল-আমিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।