Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদক ‘উদ্ধার’ নাটক মিথ্যা মামলায় কারাভোগ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০২২, ১২:১৫ এএম

মাদকদ্রব্য দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়া হচ্ছে নিরপরাধ মানুষকে। দায়ের করা হচ্ছে মিথ্যা মামলা। এসব মামলায় কারাভোগ করতে হচ্ছে মাসের পর মাস। সামাজিকভাবে অপদস্ত হওয়ার পাশাপাশি মাদকের মিথ্যা মামলার ঘানি টেনে অনেকের জীবন হয়ে উঠছে দুর্বিষহ। জীবনে কখনও সিগারেটে টান দেননিÑ এমন ব্যক্তিদের জিম্মা থেকে ‘উদ্ধার‘ দেখানো হয় মাদক। কখনও সোর্স দিয়ে, কখনওবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিজেরাই পকেটে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক।

‘উদ্ধার’ নাটক মঞ্চস্থ করে দায়েরকৃত মামলায় নিরীহ নাগরিকদের উপস্থাপন করা হচ্ছে ‘কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী’ হিসেবে। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের ধরা হয় না। অথচ কারো বাসায় ওয়াইনের খালি বোতল পেলেও ‘বিপুল পরিমাণ মাদক’ উদ্ধারের খবর প্রচার করা হয়। গত দেড় দশকে এমন ঘটনা ঘটেছে অসংখ্য। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্নীতিগ্রস্ত সদস্যদের দ্বারা নিরপরাধ মানুষ হয়েছেন বেপরোয়া শিকার। অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্য নিরপরাধ মানুষকে মামলায় ফাঁসাচ্ছেন, তাদের শাস্তি হয়েছেÑ এমন নজির খুব কম। বিশ্লেষকরা বলছেন, আইনের শাসনের দুর্বলতার কারণে প্রতিটি ক্ষেত্রে এত অধপতন।

কেস স্টাডি-এক : মুন্সিগঞ্জ গজারিয়া উপজেলাধীন এক অজো পাড়াগাঁয়ের তরুণী রাখি আক্তার (ছদ্ম নাম)। শৈশবে পিতা নিরুদ্দেশের পর অল্প বয়সে তাকে ধরতে হয় সংসারের হাল। ছোট ভাই-বোনদের ‘মানুষ‘ করতে গিয়ে নিজের পড়াশোনা বেশিদূর এগোয়নি। ইন্টারমিডিয়েট পাসের পর তার বিয়ে হয়ে যায়। দুই কন্যা সন্তানের পর সংসারটা টেকেনি। থাকেন মায়ের সঙ্গেই। রাখির সারাটা জীবন লড়াইয়ের। একটি পার্লার চালান। হাঁস-মুরগি পালেন। স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন একটি জাতীয় দৈনিকে। গ্রামে শিক্ষিত লোক বলতে রাখিই। সমাজে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন। মজলুমের পক্ষে কথা বলেন। এ কারণে মানুষ তাকে সম্মানও করেন।

২০১৬ সালের ঘটনা। পৈতৃক ভিটার দিকে নজর পড়ে প্রভাবশালী প্রতিবেশীর। এ নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে রাখির মায়ের বচসা হয়। বিষয়টি ‘মীমাংসা‘র কথা বলে পাড়ার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তাকে পরিবারের সদস্যসহ ডাকেন। সেখানে কথা বলছিলেন তিনি। এমন সময় এক নারী এসে বললেন, ‘পাওয়া গেছে‘। কি পাওয়া গেছেÑ প্রথম বুঝে উঠতে পারেননি রাখি। ভেবেছেন হয়তো তার ছোট ভাইকে ঘরে পাওয়া গেছেÑ এই তথ্যটাই হয়তো ওই নারী দিয়েছেন। কিন্তু সালিসে বসে থাকা অবস্থায় মুরব্বি ধাঁচের একজন জানালেন, টিভিতে নাকি স্ক্রল যাচ্ছেÑ মুন্সিগঞ্জে আড়াইশ‘ পিস ইয়াবা উদ্ধার! তরুণী গ্রেফতার।

মুরব্বি এ কথা বলতে না বলতে পেছন থেকে পুলিশ ঘিরে ফেলে রাখিকে। তাকে তার ঘরের ভেতর নেয়া হয়। সেখানে তার সামনেই ঘরের এক স্থান থেকে ‘উদ্ধার‘ করা হয় ইয়াবা। হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে পুলিশ নিয়ে যায় রাখিকে। ‘সবই ষড়যন্ত্র‘। রাখির এই দাবিকে কে-ই বা বিশ্বাস করে? দুই সপ্তাহের বেশি কারাভোগের পর তিনি মুক্ত হন জামিনে। মুন্সিগঞ্জ আদালতে মামলাটি এখনও চলমান। মাঝে মামলাটির কয়েকটি তারিখ পড়ে। আইনজীবীর খামখেয়ালিপনায় হাজিরার তারিখটি তিনি জানতেন না। তখন করোনার দাপট।

আবারও বাড়িতে পুলিশের হানা। দুই শিশু সন্তানের সামনে থেকে দ্বিতীয়বারের মতো ধরে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এবার কারাভোগ করতে হয় ৩ সপ্তাহের বেশি। অর্ধযুগ এই মামলায় আইনজীবীর খরচ টানতে দরিদ্র রাখির পরিবার আরও নিঃস্ব হয়ে যায়। অথচ মামলা শেষ হয় না। মামলায় বাদী হয়েছিলেন আরেকজন নারী। যদিও মাদকের মামলায় আইনত পুলিশকে বাদী হতে হয়।

ব্যতিক্রম এই মামলায় কথিত ‘মাদক উদ্ধারকারী’ পুলিশ সদস্যকে করা হয় প্রধান সাক্ষী। সাক্ষী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। বাদীনী নিজেই পরে রাখির পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলাটিতে রয়েছে ব্যাপক অসঙ্গতি। এটি যে সাজানো মামলাÑ এটি প্রমাণেও রয়েছে যথেষ্ট উপকরণ। তবুও শেষ হচ্ছে না মামলা। কবে শেষ হবেÑ জানাতে পারছেন না তার আইনজীবীও।

কেস স্টাডি-দুই : বন্ধুদের সঙ্গে দাওয়াত খেয়ে কুমিল্লা থেকে প্রাইভেট কারে নারায়ণগঞ্জ বন্দরস্থ নিজ বাড়ি ফিরছিলেন তরুণ টেক্সটাইল প্রকৌশলী তাজ। ফিরতে গভীর রাত হয়ে যায়। মেঘনা ব্রিজ পার হয়ে টোল প্লাজার কাছে আসতেই গাড়ি থামায় সাদা পোশাকের কয়েক জন। নিজেদের পরিচয় দেয় গোয়েন্দা পুলিশ বলে। সবার নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর বললেন, আমাদের কাছে ইনফরমেশন আছে, গাড়ি চেক করব। কথা বলতে বলতে আটককারীরা হ্যান্ডকাফ পরিয়ে ফেলে তাজের হাতে। বেঁধে ফেলা হয় আরোহী চার বন্ধুর চোখ।

তাজ তার স্ত্রীকে মোবাইলে এটুকু জানাতে পেরেছিলেন যে, তাদের গ্রেফতার করে ঢাকার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তারপর কেড়ে নেয়া হয় সবার মোবাইল সেট। পরদিন অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদের আবিষ্কার করা হয় মিন্টো রোডস্থ একটি গোয়েন্দা শাখার দফতরে। বহু চেষ্টা তদবিরে দু’দিনের মাথায় ছেড়ে দেয়া হয় ৩ জনকে। কিন্তু তাজকে কোর্টে চালান দেয়া হয় দেড়শ’ পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায়। জব্দ তালিকায় ইয়াবার সঙ্গে আলামত হিসেবে রেখে দেয়া হয় পারিবারিক কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটিও। দেড় মাস কারাভোগের পর ইয়াবার মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হন অধূমপায়ী তাজ।

মামলাটি এখনও চলমান। আলাপচারিতায় তিনি জানান, ব্যবসার কথা বলে তার শিক্ষক মায়ের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা নিয়েছিল তার এক সাবেক ছাত্র। সে টাকাটা ফেরত দিচ্ছিল না। বিষয়টি নিয়ে ছেলেটির সঙ্গে একদিন বচসা হয় তাজের। কিন্তু ছেলেটি পুলিশের ইনফর্মারÑ এটি তার জানা ছিল না। মূলত টাকা আত্মসাতের লক্ষ্যে ওই ইনফর্মারই পুলিশকে ব্যবহার করে। এ কারণে তার গাড়ি থেকে ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে তাকে চালান করা হয় মামলায়।

কেস স্টাডি-তিন : ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি। মাদকের মিথ্যা মামলায় মানহানি ও হয়রানির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন নাটোর বাগাতিপাড়ার স্কুলশিক্ষিকা মুন্নী পারভীন। তিনি উপজেলার চন্দ্র খৈইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাত। শীতের পিঠা খেতে বাগাতিপাড়া উপজেলার গোবিন্দপুরে পিত্রালয়ে যান। সেখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর বাগাতিপাড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে পুলিশ তার বাবার বাড়িতে তাদের একটি ঘরে আটকে রেখে তল্লাশি চালায়।

কিন্তু বাড়িতে কিছু না পেয়ে বাড়ির বাইরে থেকে একটি বস্তা এনে তাতে গাঁজা আছেÑ মর্মে বাড়ির লোকজনকে খুঁজতে থাকে। বাড়িতে বাবা ও ভাইকে না পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে পুলিশ। এর প্রতিবাদ করলে সহকারী উপ-পরিদর্শক গোলাম রব্বানী তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে, তার স্বামী ও মাকে থানায় নিয়ে যায়। সে সময় বস্তাটি সবার সামনে খুলতে বললেও তারা তা খোলেননি। পরে থানায় নিয়ে গিয়ে তাদের সামনে দুইটি গাঁজার প্যাকেট দিয়ে ছবি তুলে মিডিয়ায় প্রচার করা হয়। পরে মুন্নির স্বামী আমির হোসেন ও বাবাকে অভিযুক্ত করে একটি মাদক মামলা দায়ের করেন।

কেস স্টাডি-চার : মাদকের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয় দৈনিক খুলনাঞ্চল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এম এ জলিলকেও। ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে অব্যাহতি দেন। একই আদেশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের দুই কর্মকর্তা পারভীন আক্তার এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাওলাদার মো: সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার নির্দেশ দেন।

মামলাটির বিচার চলাকালে এম এ জলিল ফৌজদারি কার্যবিধির ২৬৫-সি ধারায় আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর করে আদালত বলেন, এম এ জলিলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ সালের ৩৬ (১) সারণীর ১৪ (খ) ধারার চার্জ গঠনের মূল উপাদান প্লেস অব অকারেন্স (অপরাধ সংঘটনের স্থান) নেই। এ কারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ২২১ ধারার বিধান অনুযায়ী আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আইনগত কোনো সুযোগ নেই। তদন্ত কর্মকর্তা তার রিপোর্টে জলিলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করছেন। কিন্তু আসামির দখল ও হেফাজত থেকে কথিত মাদক উদ্ধার ও জব্দ করার বিষয় প্রমাণিত হয়েছে এ ধরনের কোনো কিছু তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেছেন সাংবাদিকতার আড়ালে এম এ জলিল দীর্ঘদিন ধরে ফেনসিডিল ক্রয়-বিক্রয় করে আসছেন। তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে এম এ জলিল একজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা কী কী দালিলিক এবং মৌখিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আসামিকে ‘কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী’ উল্লেখ করেছেন প্রতিবেদনে সেটির ব্যাখ্যা নেই। একজন রাখি, তাজ, মুন্নী পারভীন কিংবা জলিলই ননÑ মাদকের মামলায় ফেঁসে আছেন এমন হাজারও নিরপরাধী।

আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, তিন বছর আগে দেশের আদালতগুলোতে বিচারাধীন মামলা ছিল ১১ লাখ ৭১ হাজার। এর মধ্যে ৩ লাখ ১২ হাজার মামলা মাদক সংক্রান্ত, যা মোট মামলা সংখ্যার ২৭ ভাগ। মাদকের প্রায় অর্ধেকই বিচারে প্রমাণিত হয় না। শেষ পর্যন্ত আসামিদের খালাস দিতে হয়। কখনওবা ত্রæটিপূর্ণ হওয়ার কারণে মামলা খারিজও হয়ে যায়।

সূত্রটি জানায়, ২০১৪ সাল থেকে চলতি বছর এপ্রিল পর্যন্ত ৮ বছর চার মাসে ১৮ হাজার ৫৪০টি মাদকের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজার ৫৫টি মামলা খারিজ হয়ে গেছে, যা মাদকের মোট মামলার ৫৪ দশমিক ২৩ ভাগ। অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি মামলাই মিথ্যা বা ত্রæটিপূর্ণ।
মাদকের মামলা মিথ্যা প্রমাণের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, অধিকাংশ মামলার ক্ষেত্রেই যথাযথভাবে এজাহার করা হয় না। মামলা করা হয় মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে। চার্জশিটে নানা ত্রæটির কারণে মাদক মামলা অর্ধেকের বেশি খারিজ হয়ে যায়।

প্রকাশ্য দিবালোকে পথচারীর পকেটে পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক ইয়াবা ঢুকিয়ে ‘উদ্ধার’ মামলায় কারাভোগের দৃষ্টান্ত টেনে টেনে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)-এর প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে। হাজার হাজার ইয়াবার মামলা প্রতিনিয়ত হাইকোর্টে আসে। আসামিরা আইনজীবীদের কাছে এলে জানতে পারেন প্রকৃত ঘটনা। আদালতও বুঝতে পেরেছেন, ৫০ ভাগেরও বেশি মামলা হয়রানিমূলক। ইয়াবা-টিয়াবা পায়নিÑ শত্রæতামূলকভাবে ধরা হয়। সে ক্ষেত্রে আদালত অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জামিন দিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু এই যে হয়রানি, সেটির কিন্তু কোনো বিচার হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট পুলিশকে হয়তো ক্লোজ করা হবে। এই যে লুকোচুরি খেলা সেটির কিন্তু প্রতিকার হচ্ছে না। আইনের শাসনের দুর্বলতার কারণে প্রতিটি বিষয়ে এত অধপতন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ