Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আমদানি কমায় অস্থির আদার বাজার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দর বেশি থাকায় লোকসানের ভয়ে আদার আমদানি কমিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এতে গত কয়েকদিনে আদার দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের আড়তগুলোতে বর্তমানে প্রতি কেজি চীনা আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। যা গত দশদিন আগে ১০০ টাকার নিচে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে বাজারে থাকা আদার মধ্যে ৯০ শতাংশই চীন থেকে আমদানি করা। মিয়ানমারের অল্প পরিমাণ বাজারে রয়েছে। এছাড়া গত কয়েকদিন ধরে নতুন মৌসুমের দেশি আদা বাজারে আসছে।
এরমধ্যে মিয়ানমারের আদা বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। নতুন মৌসুমের দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে। দাম বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে খাতুনগঞ্জের কাঁচা মসলা পণ্য ব্যবসায়ী মেসার্স আজমির ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী নেওয়াজ মোরশেদ বলেন, বাজারে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় আদার সরবরাহ কম রয়েছে। নতুন মৌসুমের দেশি আদা আসতে শুরু হয়েছে মাত্র। এতদিন আমদানির উপর নির্ভরশীল ছিল আদার পুরো চাহিদা। কিন্তু গত দুই-তিন মাস আদা আমদানিকারকরা বেশি লোকসান করেছে। এতে পণ্যটির আমদানি কমে সরবরাহ সঙ্কটে দাম বেড়ে চলেছে। মসলা পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স মক্কা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী জোনায়েদুল হক বলেন, কাঁচা মসলা পণ্য আমদানি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। একদিকে ডলারের দাম বৃদ্ধিতে বিশ্ববাজারে বুকিং দর বৃদ্ধি পেয়েছে। এরমধ্যে মসলা পণ্য আমদানিতে শতভাগ এলসি মার্জিন দিতে হচ্ছে। এসব মিলে আমদানি খরচ খুব বেড়ে গেছে। লোকসানের কারণ সম্পর্কে এই আমদানিকারক বলেন, আমদানি খরচ বৃদ্ধির পরও ব্যবসায়ীরা পণ্যটির আমদানি অব্যাহত রেখেছিল। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে মসলা পণ্য আদার চাহিদা কিছুটা কমে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ