পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মেডিটেশন সুশৃঙ্খল জীবন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে বলে মনে করেন জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘অনিয়ম, দুর্নীতি ও দূষণ থেকে সমাজকে রক্ষা করতে হলে শুদ্ধাচার চর্চা করতে হবে। মনকে পরিশীলিত করে জীবনের নতুন লক্ষ্য ঠিক করে সততায়, মানবিকতায় তরুণ প্রজন্মকে তৈরি করতে হবে। তাহলেই সমতাভিত্তিক সুন্দর বাংলাদেশ তৈরি করতে পারবো আমরা।’ গতকাল সোমবার রাজধানীতে আইডিইবি ভবনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পোস্ট-কোভিড টোটাল ফিটনেস প্রোগ্রাম চালুকরণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ভিসি।
সমাজকে বদলে দিতে নৈতিক ও মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানস গঠন অপরিহার্য উল্লেখ করে দেশের প্রথিতযশা সমাজবিজ্ঞানী ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের এই সমাজকে খুবলে খাচ্ছে লুটেরা শ্রেণি। সেই লুটেরাদের বাজার সম্প্রসারণ হয়েছে, যে বাজার সমাজে অস্থিরতা তৈরি করছে। যে মানুষটি চেয়ারে বসে দুর্নীতি করে, অন্যায় হস্তক্ষেপ করে- তার মধ্য দিয়ে যে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হয়- সেটিই আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতায় ফেলে। আমরা যারা বসে পরিবেশকে নষ্ট করছি, বর্জ্য ফেলে বুড়িগঙ্গাকে দুষিত করছি, সেই সংখ্যাটি সীমিত নয়। তারা অর্থ, বাণিজ্য, বাজার দখল করে আমাদের আশঙ্কাজনক সমাজ উপহার দেয়। যে সমাজে দাঁড়িয়ে আমাদের নানা মানসিক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাহরণ টেনে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘দেশের মহানায়ক মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন-তোমরা যদি আমাকে হত্যাও করো আমার লাশ বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিও। এখানেই মেডিটেশনের গভীর অনুপ্রেরণা, আর সেই অনুপ্রেরণা আমাদের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
তিনি বলেন, ‘যারা আমাদেরকে বিপথগ্রস্ত অবস্থার মধ্যে ফেলেছে, সেই বাজার ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হউক। সমতার সমাজ প্রতিষ্ঠিত হলেই মেডিটেশনে বড় সফলতা আসবে।’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ড. আনোয়ারা সৈয়দ হক। এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ওমর ফারুক, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল হক, ড. মাসুদুল হক সিদ্দিকী, সালেহ আহমেদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।