পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এবার বিদ্যুতের দাম বাড়ছে ১২ দফায়। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে দলটি সরকার গঠন করার পর গত এক যুগে দেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে ১১ বার। এ সময়ে পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দাম বাড়ানো হয়। ওই সময় সরকারি ভর্তুকি ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ধরে পাইকারি পর্যায়ে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। একই সময়ে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। গতকাল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) চলতি সাপ্তাহে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে ঘোষণা দিয়েছে।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ১৮ মে গণশুনানি হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী গণশুনানির পর ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়ার নিয়ম রয়েছে। গণশুনানির ৯০ কার্যদিবসের সময়সীমা শেষ হবে আগামী ১৪ অক্টোবর। এ সময়ের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া পেলে দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হবে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, আগামী ১৩-১৪ অক্টোবরের মধ্যে বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বেশি দামে যারা কিনছেন, তারা রশিদ নিয়ে আমাদের জানালে দাম সমন্বয় করা হবে। দাম কার্যকরের ক্ষেত্রে ভোক্তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। কোনো কোম্পানি মানি না মানব না, এমনটি বলার সুযোগ নেই। কেউ বললে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫-২০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। কমিশনের প্রস্তাব এরই মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে অনুমোদন দেয়া হলে চলতি সপ্তাহে যেকোনো দিন বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা এমন সময় আসতে যাচ্ছে, যখন সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের কারণে প্রাত্যহিক ব্যয় নির্বাহে হিমশিম খাচ্ছে। নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে তার প্রভাব পড়বে ব্যয়ের অন্য খাতগুলোতেও। ফলে এক দফা বাড়তি ব্যয়ের চাপে পড়বে দেশের সাধারণ মানুষ। বিদ্যুতের দাম বাড়ার ঘোষণা সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকলেও ইতোমধ্যে ডিপিডিসিসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি গ্রাহকের টাকা কেটে নেয়া শুরু করেছে বলে রাজধানীর মিরপুরের এবং মোহাম্মদপুর ও শ্যামলী এলাকার গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন।
আগামী বিজয় দিবসে দু’টি বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে। বাগেরহাটে ‘রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র’, আরেকটি ভারতের ঝাড়খণ্ডে নির্মাণাধীন ‘আদানি পাওয়ার প্ল্যান্ট’। এই দুই বিদ্যুৎকেন্দ্রই বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে। এই দুই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন হলে এর থেকে ২ হাজার ২৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। আগামী ডিসেম্বর বিজয় দিবসে দু’টি বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের চিন্তা করা হচ্ছে। আর এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এখন কীভাবে উদ্বোধন করা হবে এ নিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এদিকে রান্নার কাজে বহুল ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের ১২ কেজির সিলিন্ডার প্রতি ১২০০ টাকা। যা পূর্বের মাসের তুলনায় ৩৫ টাকা, আগস্টে এই দর ছিল ১২৩৫ টাকা। অটোগ্যাস লিটার প্রতি ৫৫ দশমিক ৯২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দর গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
গতকাল রোববার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দর ঘোষণা করে বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল। এ সময় উপস্থিত কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই-এলাহী চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, কামরুজ্জামান, বিইআরসির সচিব খলিলুর রহমান খান। টানা কয়েকমাস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর মে মাসে থেকে কমতে থাকে এলপি গ্যাসের দাম। চলতি মাসেও এলপি গ্যাসের দর কমলেও ডলারের দর ঊর্ধ্বমুখিতার কারণে সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত বাংলাদেশের ভোক্তারা। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বাড়ন্ত এলপি গ্যাসের দর এপ্রিলে (১২ কেজি) গিয়ে দাঁড়ায় ১৪৩৯ টাকায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোর এলপিজির সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় এ বছর। এপ্রিল মাসে (সউদী আরামকো) সর্বোচ্চ দর ওঠে প্রোপেন ৯৪০ বিউটেন ৯৬০ ডলার। ২০১৪ সালের পর আর কখনও এতো বেশি দরে বেচাকেনা হয়নি বাংলাদেশে রান্নার কাজে বহুল ব্যবহৃত জ্বালানি পণ্যটি। চলতি মাসে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম কমে যথাক্রমে ৫৯০ ও ৫৬০ ডলার হয়েছে। প্রোপেন বিউটেনের অনুপাত ৩৫ ও ৬৫ যার গড় দর দাঁড়িয়েছে প্রতিটন ৫৭০.৫০ ডলার। দর কার্যকর হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, কোনো ভোক্তা যদি বেশি দাম দিতে বাধ্য হন, তিনি যদি সেই কোম্পানির বিরুদ্ধে কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দর ঘোষণা করে বিইআরসি। তখন বলা হয়েছিল আমদানিনির্ভর এ জ্বালানির সউদী রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তি মূল্য ধরা হবে। সউদীর দর উঠানামা করলে ভিত্তিমূল্য উঠানামা করবে। অন্যান্য কমিশন অরপরিবর্তিত থাকবে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। সাধারণত মাসের ৩ থেকে ৪ তারিখের মধ্যে দর ঘোষণা করা হয়ে থাকে। কিন্তু চলতি মাসে এ ডলারের দর নিয়ে মতবিরোধ থাকায় জটিলতা দেখা দেয়। এলপিজি ব্যবসায়ীদের দাবি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত দরে তারা ডলার কিনতে পারছে না।
এলপিজি আমদানিকারকরা অপরেশনাল কমিশন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছে। ১১টি কোম্পানি বিইআরসিতে লিখিত আবেদন দেয়। তাদের দাবি হচ্ছে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় জাহাজ ভাড়া বেড়েছে, অভ্যন্তরীণ রুটেও ভাড়া বেড়েছে। সম্প্রতি কমিশনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছে। সেখানে গণশুনানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোম্পানিগুলো আবেদন জমা দিলেই গণশুনানি গ্রহণ করা হবে।
বিইআরসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বলেন, কমিশন ১৫-২০ শতাংশের মধ্যে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব চূড়ান্ত করে রেখেছে। এরই মধ্যে তা বিদ্যুৎ বিভাগে জমাও দেয়া হয়েছে। সরকার চাইলে এটি বাড়াতে কিংবা কমাতে পারে। এর আগে ১৮ মে বিদ্যুতের পাইকারি (বাল্ক) মূল্যহার বৃদ্ধি নিয়ে বিইআরসির সর্বশেষ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তিন মাসের বেশি সময় পেরোলেও এ-সংক্রান্ত কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি। যদিও আইন অনুযায়ী গণশুনানি সম্পন্নের ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে মূল্যসংক্রান্ত বিষয়ে ঘোষণা দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আইনি এ বাধ্যবাধকতার কারণে বিদ্যুতের মূল্য পর্যালোচনায় সংস্থাটির হাতে আর খুব বেশি সময় নেই।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসির একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেছেন, জ্বালানি তেলের রেকর্ড পরিমাণ দাম বাড়ানোর পর ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এ কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে কিছুটা সময় নিচ্ছে সরকার। সরকারি ভর্তুকির পরিমাণ জানা গেলে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিইআরসির এক কর্মকর্তা ইনকিলাবকে বলেন, শুনানির পর ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে দামের বিষয়ে আদেশ ঘোষণার আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। এরই মধ্যে তিন মাস পেরিয়ে গেছে। তাই ভর্তুকির পরিমাণ জানতে তাগাদা দিয়ে গত দ্বিতীয় দফায় চিঠি দেয়া হয়েছে। আগামী ১৩-১৪ অক্টোবরের মধ্যে বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
গত ১৮ মে গণশুনানির পর ৯০ কার্যদিবসের সময়সীমা শেষ হবে আগামী ১৪ অক্টোবর। এ সময়ের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সাড়া পেলে দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হবে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম ৬৬ শতাংশ বাড়িয়ে ৮ টাকা ৫৮ পয়সা করার আবেদন করে। বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৫ টাকা ১৭ পয়সা। গ্যাসের আগের দর ইউনিটপ্রতি ৪ টাকা ৪৫ পয়সা বিবেচনায় বিপিডিবি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এ প্রস্তাব করেছে। যদিও এরপর ইউনিটপ্রতি গ্যাসের দাম ৫৭ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। বিপিডিবির প্রস্তাবের বিপরীতে বিইআরসির টেকনিক্যাল কমিটি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ভর্তুকি ছাড়া ৮ টাকা ১৬ পয়সা নির্ধারণের সুপারিশ করে। এর আগে কখনো এত উচ্চ হারে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়ার নজির নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের পাইকারি দর ইউনিটপ্রতি ৫ টাকা ১৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
বিদ্যুতের নতুন মূল্যহার ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে বিইআরসি সদস্য (বিদ্যুৎ) মোহাম্মদ বজলুর রহমান বলেন, এটি নিয়ে আমরা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে কাজ শেষ করেছি। ভর্তুকির বিষয়টিও সমাধান হয়েছে। যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নতুন মূল্যহার ঘোষণার বিষয়টির জন্য সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সাড়া পাওয়ার অপেক্ষা। বিদ্যুতের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার ওপরই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
গত এক যুগে দেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছেÑ ৯ বার থেকে ১১ দফায়। এ সময়ে পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ গত ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দাম বাড়ানো হয়। ওই সময় সরকারি ভর্তুকি ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ধরে পাইকারি পর্যায়ে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। একই সময়ে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
প্রকৃতপক্ষে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা ১০ থেকে ১৪ হাজারের ঘরে উঠানামা করছে। শীতের সময় এই চাহিদা ৮ থেকে ১০ হাজারে ওঠা-নামা করে। শিল্পায়নের কথা চিন্তা করে ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪০ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে এখন বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধির একটি মাত্র পথ খোলা রয়েছে শিল্প। শিল্পায়ন হচ্ছেও; কিন্তু প্রকৃত অর্থে বিদ্যুতের চাহিদায় তারতম্য দেখা যাচ্ছে না। শিল্পে বিদ্যুতের ব্যবহার আশানুরূপ না হওয়ায় অনেকদিন ধরেই শঙ্কার কথা বলা হচ্ছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছেÑ গণহারে ক্যাপটিভ বসানো। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে মূলত বিইআরসির কাছে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয় বিপিডিবি। আমদানিকৃত স্পট এলএনজি আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়ানো হয়েছে গ্যাসের দাম। গত জুন থেকে দেশে স্পট এলএনজি আমদানি বন্ধ রয়েছে। যদিও বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল ও এলএনজির দাম গত দেড় মাসে যথাক্রমে ২৫ ও ৩৫ ডলার পর্যন্ত কমেছে। সব ধরনের জ্বালানি পণ্যের দামই এখন নিম্নমুখী। রাজধানীর মিরপুরের এলাকার গ্রাহকরা অভিযোগ করেছে ফয়সাল হাকিম ফোনে ইনকিলাবকে বলেন, সরকার এখনো বিদ্যুতের দাম বাড়ায়নি। তার আগেই ডিপিডিসি টাকা কেটে নিচ্ছেন। তার বিল আসতো ১১ শত টাকা, সেখানে বিল দিতে হচ্ছে-২২০০ টাকা। মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা সালমা বেগম বলেন, তার টাকা কেটে নিচ্ছে। কীভাবে যাচ্ছে তা বলতে পারছে না।
সরকারের অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পগুলোর একটি রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করতে ব্যয় হচ্ছে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার সাপমারি-কাটাখালী ও কৈর্গদাশকাঠী এলাকায় ১৮৩৪ একর জমির ওপরে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ভারত সরকারের কনসেশনাল ফাইন্যান্সিং স্কিমের অধীনে নির্মিত হচ্ছে। এটি বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড, ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের-পিডিবি মধ্যে একটি ফিফটি ফিফটি জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।