Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মধ্যরাতে পানিতে চুবিয়ে সন্তানকে খুন করেন মা

ঘটনাস্থল খুলনার বটিয়াঘাটা কান্নাকাটি করাই শিশুটির অপরাধ

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

রীতা বেগম একজন মা হয়েও নিজের সন্তানের কান্না সহ্য করতে পারেননি। শিশু সন্তান মরিয়ম জন্ম নেয়ার পর থেকেই একটু বেশি কান্নাকাটি করতো। কান্নাকাটিসহ বিভিন্ন কারণে তিনি সন্তানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত শুক্রবার রাতে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়লে রীতা বেগম ঘুমন্ত সন্তান মরিয়মকে কোলে করে বাড়ির বাইরে নিয়ে পাশের পুকুরে ফেলে দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটি ছটফট করতে করতে পানিতে ডুবে মারা যায়। এরপর ঘাতক মা ঘরে এসে স্বাভাবিকভাবে ঘুমিয়ে পড়েন।

রাত ১টার দিকে শিশুটির দাদা ঘুম থেকে উঠে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। ছেলে সাইফুলকে ঘুম থেকে জাগান তিনি। জিজ্ঞাসা করেন ঘরের দরজা খোলা কেন। এমন প্রশ্নের উত্তর তখন ছেলে দিতে পারেনি। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ওই বাড়িতে শুরু হয় হৈচৈ। সকলে খুঁজতে থাকেন মারিয়মকে। পরে পুকুর থেকে শিশুটির ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। সারাদিন চলে মা রীতা বেগমের কান্নাকাটির নাটকীয়তা।
গতকাল রোববার নিজের কন্যা শিশুকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন রীতা বেগম। খুলনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ এর বিচারক নাজমুল কবির তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদালত এক আদেশে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। ঘাতক রীতা বেগম বটিয়াঘাটা উপজেলার গাওঘরা গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. এনামুল জানান, বাচ্চাটি জন্ম নেওয়ার পর কান্নাকাটি ও অতিরিক্ত পায়খানা করত। এতে বিরক্ত হয় ওই শিশুটির মা। ঘটনার রাতে শিশুটি কান্নাকাটি করতে থাকে। রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির সকলে ঘুমিয়ে পড়ে। সবার অজান্তে মারিয়মকে ঘর থেকে বের করে পুকুরের দিকে নিয়ে যান মা রীতা বেগম। পরে তাকে পুকুরে ফেলে দিয়ে ঘরে এসে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে মা নিজের সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
বটিয়াঘাটা থানার ওসি শাহাজালাল বলেন, গত শুক্রবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটের দিকে শিশু মরিয়মের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করা হয়। ঘাতক রীতা বেগম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তাকে গতকাল রোববার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ