পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
১৭তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা দুই বছর পর আবারো শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ৬ অক্টোবর। দেশীয় ফার্নিচার শিল্পের সর্ববৃহৎ এই আয়োজন চলবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। রাজধানীর বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৮২টি স্টল থাকবে। মেলার উদ্বোধনী উপক্ষে ১ অক্টোবর সকালে একটি ভার্চুয়াল প্রেস মিটের আয়োজন করা হয়। ভার্চুয়াল এ প্রেস কনফারেন্সের উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি, চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমান, মহাসচিব মোঃ ইলিয়াস সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান, আহ্বয়ক-মেলা কমিটি, আলহাজ্ব শেখ আব্দুল আউয়াল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এ করিম মজুমদার।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ সরকারের শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমান। ৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির গুলনকশা হলে মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করা হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক কে. এম আকতারুজ্জামান।
১৭তম জাতীয় ফার্নিচার মেলায় মূল মেলার পাশাপাশি উদ্বোধনী দিনে অনুষ্ঠিত হবে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতযোগিতা। প্রতিযোগিতায় সেরা ছবি আঁকার জন্য প্রথম ১০ জনকে দেওয়া হবে আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী পাবে সার্টিফিকেট ও স্কেচ বুক। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হলে অবশ্যই প্রতিযোগীর জন্ম নিবন্ধন সনদসহ দুপুর দুইটার মধ্যে ভেন্যুতে উপস্থিত হয়ে রেজিস্ট্রশন সম্পন্ন করতে হবে। ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবে। চিত্রাঙ্কনের সরঞ্জাম (বোর্ড, তুলি ও প্যাস্টেল কালার) প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকেই আনতে হবে। আয়োজক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ড্রয়িং পেপার সরবরাহ করা হবে। চিত্রাঙ্কনের বিষয় ‘ছবির মত ঘর’।
বিগত ১৬ বছর ধরে এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার মেলার ১৭তম আয়োজন। এই মেলার উদ্দেশ্য হলো দেশীয় ফার্নিচার শিল্পের বিকাশ ঘটানোর পাশাপাশি দেশের বাইরেও রপ্তানি বাড়ানো। এরই মধ্যে বিদেশে ফার্নিচার রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মেলায় হাতিল, আখতার, নাভানা, পারটেক্স, রিগ্যাল, নাদিয়া, ব্রাদার্সের মতো ফার্নিচার প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৮২টি স্টল থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০২১-২০১২ অর্থ বছরে ১৯০.৩৬ মিলিয়ন ডলারের ফার্নিচার রপ্তানি করা হয়েছে। যা তার আগের অর্থ বছর থেকে ৩৮.৮৭ শতাংশ বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন, ভারত, নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে ফার্নিচার রপ্তানি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।