Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপের মধ্যেও স্থিতিশীল : ফিচ রেটিং

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা ফিচ রেটিং বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে সুখবর দিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আগের মতোই ‘স্থিতিশীল’ থাকবে। বাংলাদেশের জন্য ‘বিবি মাইনাস’ রেটিং বহাল রেখেছে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি। ফিচ রেটিং-এর বিবেচনায় ‘বিবি মাইনাস’ রেটিং হচ্ছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছে; কোনো ঝুঁকি নেই।

গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। দুই বছরের করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় বিশ্ব অর্থনীতি ওলোটপালট হয়ে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে ছোট-বড় সব দেশে। মন্দার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতির এই মন্থর গতি আর দেশের ভেতরে মূল্যস্ফীতির চাপ সত্ত্বেও বাংলাদেশের ‘শক্তিশালী’ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা ফিচ রেটিং। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এই ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি বলছে, বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ এখনও পরিশোধ সক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে।
সেই বিবেচনায় বাংলাদেশের জন্য ‘বিবি মাইনাস’ রেটিং বহাল রেখেছে ফিচ। এর অর্থ হল, ঋণ খেলাপির ঝুঁকি থাকলেও আর্থিক প্রতিশ্রুতি পূরণে বাংলাদেশের ব্যবসা ও আর্থিক খাতের খাপ খাইয়ে নেওয়ার মত স্থিতিস্থাপকতা আছে এবং আর্থিক প্রতিশ্রুতি পূরণের সক্ষমতা রয়েছে।
ফিচ রেটিং বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধ ও বৈশ্বিক সুদ হার বৃদ্ধির ফলে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে, বিনিময় হারে নমনীয়তা এবং বিদেশি-সরকারি ঋণের সহায়তার মাধ্যমে তা মোকাবেলা করতে পারে বাংলাদেশ।
আট মাসের মধ্যে বাংলাদেশে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ১৬ শতাংশ কমে ৩৮ দশমিক ৯ বিলিয়নে নেমেছে; তারপরও আমদানি কমাতে নীতিগত পদক্ষেপ, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং বিনিময় হারে বৃহত্তর নমনীয়তার কারণে রিজার্ভের ওপর চাপ কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে ফিচ।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে গিয়ে ঠেকবে বলে মনে করছে ফিচ, যদিও তা চার মাসের বেশি আমদানি মূল্য পরিশোধের জন্য যথেষ্ট। এছাড়া চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ঘাটতি কমে জিডিপির ৩ শতাংশে এবং পরের অর্থবছরে ২ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে ফিচের প্রতিবেদনে।
এ এজেন্সির পূর্বাভাস বলছে, আমদানিতে লাগাম এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে কমিয়ে দেওয়ার কারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নেমে আসবে ৫ শতাংশে, তবে এ সকল কড়াকড়ি তুলে নিয়ে নিত্যপণ্যের দামে লাগাম টানা গেলে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
এই ঋণমানের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ বেশ কিছুদিন ধরে বাহ্যিক চাপের মধ্যে রয়েছে। আর এই চাপে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অফ পেমেন্ট) বড় ঘাটতিতে পড়েছে। বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ কমছে। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক গতিপথে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী এক বছরের মধ্যে দেশটির অর্থনীতি স্থিতিশীল অবস্থা ফিরে পাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ