পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ড্যাপ বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নেই। এটি বাস্তবায়ন করতে হলে একটি নগর সরকার দরকার বলে দাবি করেছেন ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশের (আইএবি) সাবেক প্রেসিডেন্ট ও স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বনানীর ঢাকা গ্যালারিতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। রাজউকের সংশোধিত ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) নিয়ে এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের আয়োজনে ‘ড্যাপ বিতর্ক’ শীর্ষক গোলটেবিল তিনি এ কথা বলেন। স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, বিল্ডিংয়ের উচ্চতা বা অ্যাপার্টমেন্ট কমাতে পারলে জনঘনত্ব কমবে, আসলে কি তাই? পৃথিবীর কোথাও এমনটা ঘটনা নেই। ড্যাপেই বলা হয়েছে, প্রতি বছর ৫ লাখ লোক ঢাকায় ঢুকছে। এই ঢোকা যদি বন্ধ করতে না পারি.ঢাকায় মানুষ কেন আসে? একজন ভিক্ষুক এখানে আয় করতে পারে, যেটা আর কোথাও পারে না। তার তো এখানে আসা ছাড়া বিকল্প নেই। বাসস্থানের সংখ্যা কমিয়ে জনঘনত্ব কমানোর ইতিহাস পৃথিবীর কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই। এটা কোনোদিন সম্ভব নয়। জনগণ যদি আসে থাকার জায়গা না পেলে রাস্তায় থাকবে,উন্মুক্ত আকাশের নিচে থাকবে, আর না হয় বস্তিতে থাকবে। আর একটু ভালো হলে দ্বো-তলা খাট বানিয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের যেসব বাড়ি ঘর আছে সেখানে জনঘনত্ব কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।ড্যাপের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ৫ তলার অধিক ৮ শতাংশ, ২ থেকে ৫ তলা ২৪ শতাংশ, একতলা থেকে দুই তলার মধ্যে ভবন হচ্ছে ৬৪ থেকে ৬৫ শতাংশ। যারা কখনও-কখনও চিন্তা করছিল যে, ৫ থেকে ৬ তলা বানাবে, সেই জায়গাটাও কমিয়ে দেওয়া হলো। কারণ এখানে অলরেডি জনঘনত্ব বেশি। আর এটা দিয়ে দেওয়া হলো ধানমন্ডি, গুলশান ও বারিধারায়। সরকার পানি, বিদ্যুৎসহ সব ব্যবস্থা করে দিয়ে যাদের জমি দিয়েছে, তাদেরই আবার সেই সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
অনুন্নত এলাকায় যেখানে ৬৭ শতাংশ মানুষের একতলা বাড়ি আছে, তারা দ্বোতলা, তিনতলা, চার তলা করে থাকতে পারতো, তাদেরটা শিফট করে গুলশান, বারিধারা, বনানীতে দিয়ে দেওয়া হলো। তাহলে কী এইসব লোক গুলশান, বারিধারায় থাকবে? পশ এলাকায় এইসব ব্যবস্থা করা হলো, কার জন্য করা হলো? কেনও করা হলো? সাধারণ মানুষকে কী ঢাকার বাইরে বের করে দেওয়ার চিন্তা করলাম। ঢাকায় কি শুধু ধনীরাই থাকবে? এটাতো কখনও সম্ভব নয়। স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে চিন্তা করেছেন, যেটি চেয়েছেন; সেটিকে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করার চিন্তা-ভাবনা করে ড্যাপ তৈরি করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়। তা না হলে এই ভুলভ্রান্তিগুলো শুধরালেই আমরা এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে পারি।
এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবুর সঞ্চালনায় বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ ও ড্যাপ প্রকল্পের পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম, স্থপতি গোলাম নাসির, নগরবিদ আদিলুর রহমান খান, স্থপতি ইকবাল হাবিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী রিজওয়ানা হাসান এবং আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের সহ-সভাপতি সোহেল রানা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।