পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা : বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, জঙ্গিরা কোন বিশেষ ধর্মের লোককে মারে না। তারা মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান সবাইকে হত্যা করছে। জঙ্গিদের শক্তি আমরা ভেঙে দিয়েছি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট খানজাহান আলী ডিগ্রী কলেজ মাঠে আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং ও জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি শহীদুল হক বলেন, আমরা জঙ্গিদের জঙ্গি হিসাবেই দেখি। এদের সংখ্যা খুব বেশি না। জঙ্গিবাদ বাংলাদেশের নতুন চ্যালেঞ্জ। তারা অত্যন্ত দুর্বল অবস্থায় আছে। জনগণের সম্পৃক্ততায় অল্প সময়ের মধ্যে আমরা এদের নির্মূল করতে সক্ষম হব।
মাদকের সাথে অপরাধের সম্পৃক্ততা উল্লেখ করে সমাবেশে তিনি বলেন, শিশুকাল থেকে তাদের মাঝে মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরতে হবে। যাতে তারা কখনোই বিপথগামী না হয়। কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি আমলে পুলিশ ও জনগণের মাঝে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং-এর মাধ্যেমে আমরা সেই দূরত্ব কমিয়ে আস্থা ও বিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।
আমাদের পুলিশ জনগণের পুলিশ উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, কমিউনিটি পুলিশ কমিউনিটি নিয়ে কাজ করবে। শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, মৎসজীবী প্রতিটি কমিউনিটি নিয়ে কাজ করতে হবে। এতে সমাজে অপরাধ ও অপরাধপ্রবণতা কমে আসবে।’
‘থানার দালাল তাড়াতে হলে পুলিশের সাথে আপনাদের দূরত্ব কমাতে হবে। দালাল তাড়ানোর দায়িত্ব নিতে হবে আপনাদের’ বলে সমাবেশে মন্তব্য করেন আইজিপি।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- খুলনার বিভাগী কমিশনার মো. আবদুস সামাদ, পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মনির-উজ-জামান, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, বাগেরহাটে পুলিশিং কমিটির সভাপতি এ্যাড. মোজাফ্ফর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম টুকু, মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল জলিল, ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আকতারুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খুলনার বিভাগী কমিশনার মো. আবদুস সামাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১ লক্ষ্য অর্জনের জন্য দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি নিশ্চিতে পুলিশিং কার্যক্রম এবং কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রকে এগিয়ে নিতে হবে। উন্নয়ের পূর্ব শর্ত শন্তিশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা। এ জন্য এই কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে হবে।
আমাদের সমাজে কেউ যেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যতার কারণের অপরাধে জড়িয়ে পড়তে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আমার সবাই দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করছি।
সমাবেশে বাগেরহাটের ৯টি উপজেলার কমিউনিটি পুলিশিং ইউনিটগুলো ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলার কমিউনিটি পুলিশ, জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।