Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নির্বাচন প্রতিহতের নামে দেশে বিশৃঙ্খলা করলে বিএনপিকে আগুনের মুখে পড়তে হবে: ওবায়দুল কাদের

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২২, ৯:০৮ পিএম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন প্রতিহতের নামে দেশে কোন বিশৃংখলা করলে দেশের জনগণের প্রতিরোধে বিএনপিকে আগুনের মুখে পড়তে হবে। আজ শনিবার রাজধানীর হাজারীবাগে হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস,জ্বালাও-পোড়াও সন্ত্রাসী কর্মকা- ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

বিএনপির ইচ্ছায় নয়, সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরে কথা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ নাকি আগামী নির্বাচনে ৩০ আসনও পাবে না, তাহলে কি বিএনপি মহাসচিব জ্যোতিষবিদ হয়ে গেছেন?

তিনি বলেন, ২০০৮ সালেও বিএনপির নেত্রী বলেছিলেন আওয়ামী লীগ ৩০ আসনও পাবে না, কিন্তু ভোটে দেখা গেলো উল্টো বিএনপিই ৩০ আসনও পায়নি।

আগামী নির্বাচনের ফলাফল কি হবে তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ও দেশের জনগণ জানে, বিএনপি মহাসচিবের কথায় হবে না বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের

ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হলে বিএনপির কপাল পুড়বে তাই তারা এর বিরোধীতা করছে এমন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি হচ্ছে ভোট ডাকাতের সর্দার, তাই বিএনপি ভোট ডাকাতি করার জন্য ইভিএমের বিরোধিতা করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে আসা না আসা বিএনপির একান্ত নিজস্ব ব্যাপার, আওয়ামী লীগও চায় বিএনপি নির্বাচনে আসুক, কিন্তু কাউকে জোর করে নির্বাচনে আনার কোন দরকার নাই।
হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির ও সাংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও নুরুল আমিন রুহুল।



 

Show all comments
  • Mohmmed Dolilur ১ অক্টোবর, ২০২২, ৯:৫৪ পিএম says : 0
    তত্ত্বাবধায়ক সরকার অর্থ নিরপক্ষ,এত এব ভয় কিসের তাহা না করতে,এবং সেটি না মানতে কি সমস্যা,তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে সবাইর জন্য সমান,নির্বাচন হবে তারপর যে জিতবে সে ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারবে,কিন্তু সরকার বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইনে নেই,কিন্তু সেই আইন জনগনের রায় কি না সেটি ও দেখতে হবে,বর্তমানে যে অবস্থা সরকার জনগণের কথা মানছে না,আবার জনগণ বলছে সরকার যে আইন এবং সংবিধান বলছে সেটি জনগণের ভোটে হয় নাই,সরকার মিথ্যা বলছে,বর্তমানে সেটা সমাধান করতে হলে পয়োজন হা না ভোট কিন্তু কে করবে সেই ভোট,হা না ভোট করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন করা যায়,এত এব হা না ভোটের দায়িততে জাতিসংঘ থাকবে তাদের অধীনে হা না ভোট করে,তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন করা যাবে,যদি ভোট বেশি হয়,অন্যথায় সরকারের হাতে বর্তমানে যে ভাবে হয় সে ভাবে হবে,এই ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই,হা না ভোট হতে দশ দিন মাত্র সময় লাগবে,সেটি জাতীয় নির্বাচন নয় যে সব কিছু ঠিকঠাক করতে দুই তিন মাস পয়োজন,অযথা সরকার জনগণের সাথে বাড়া বারি করছে,এখনও অনেক সময় হাতে আছে,ইচ্ছা করলে যে কিছু করা যাবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ