Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পায়রা বন্দরের উন্নয়নে চীনের সঙ্গে তিনটি সমঝোতা স্বাক্ষর

| প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : আগামী ২০২৩ সালে বিশ্বমানের একটি আধুনিক বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পায়রা সমুদ্র বন্দরের মূল অবকাঠামো, তীর রক্ষাবাঁধ, আবাসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের স্থাপনা নির্মাণে এগিয়ে এসেছে চীন। গতকাল বৃহস্পতিবার এসব বিষয়ে চীনের দু’টি কোম্পানির সঙ্গে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। কোম্পানি দু’টি হলোÑ চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোং লি. (সিএইচইসি) ও চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লি. (সিএসসিইসি)।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী শাজাহান খানের উপস্থিতিতে এমওইউগুলোতে স্বাক্ষর করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) কমোডর মো. সাইদুর রহমান এবং চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোং লি.-এর পক্ষে যুগ্ম ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এল জেং নানহাই ও চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লি.-এর পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক লি শুজিয়াং। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংযোগ ব্রিজ, রাস্তা, বন্দরের জন্য অত্যাবশ্যক অবকাঠামোসহ পয়ঃনিষ্কাশন, জলনিষ্কাশন, আন্তঃসড়ক সংযোগ ও রেল যোগাযোগসহ বন্দরের মূল অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ করবে সিএইচইসি। নদীতীর রক্ষাবাঁধ, আবাসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের স্থাপনা নির্মাণ করবে সিএসসিইসি। নদী তীর রক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বন্যা প্রতিরোধ, ভূমি ক্ষয়রোধ ইত্যাদি সুদৃঢ় হবে।
পায়রা বন্দরের উন্নয়ন কাজকে ১৯টি কম্পোনেন্টে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে এ তিনটি উন্নয়ন কম্পোনেন্টকে বন্দরের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কম্পোনেন্ট তিনটি জি-টু-জি এর আওতায় বাস্তবায়িত হবে।
নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন,  ‘সমঝোতা স্মারকপত্রগুলো স্বাক্ষরের মাধ্যমে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ আধুনিক বন্দর নির্মাণের যাত্রার ক্ষেত্রে আরো একধাপ এগিয়ে গেল।’
কম্পোনেন্ট তিনটি বাস্তবায়নের পর ২০১৯ সালকে টার্গেট ধরে পূর্ণাঙ্গ বন্দর উন্নয়নে অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে কন্টেইনার টার্মিনাল, বাল্ক টার্মিনাল, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, টাগ বোট সংগ্রহ, বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপন, নৌ-সংরক্ষণ ইত্যাদি প্রকল্প হাতে নেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর দেশের ৩য় সমুদ্রবন্দর হিসেবে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় পায়রা বন্দরের উদ্বোধন করেন। রাবনাবাদ চ্যানেলের পশ্চিম তীরে ৭ হাজার একরেরও বেশি জায়গায় বন্দরটি নির্মিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে সীমিত আকারে পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু করেছে পায়রা সমুদ্রবন্দর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ