পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : মধ্যম আয়ের দেশ হতে রফতানির পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশের দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদু। ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে স্বচ্ছতা, সহজীকরণ, সমন্বয়, বাস্তবায়ন এবং বৈষম্য দূরীকরণ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে বলেন তিনি।
গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইইউ বিজনেস কাউন্সিল এর উদ্যোগে আয়োজিত সংলাপ এসব কথা বলেন পিয়েরে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পাঁচটি বিষয়েই বাংলাদেশ ও ইইউ’র প্রতিনিধি রেখে আলাদা আলাদা কমিটি করা হয়েছে। যেকোনো সমস্যা সমাধানে তারা একযোগে কাজ করবে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করবে সরকার।
তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। বিষয়কভিত্তিক আলোচনা হয়েছে। ইইউ বাংলাদেশের অনেক ভালো বন্ধু। ইইউভুক্ত ২৮টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। ইইউ একমাত্র অস্ত্র ছাড়া সব বিষয়ে আমাদের শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়। আশা করি আগামীতে রফতানি ২০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।
মন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন এবং মধ্যম আয়ের দেশে আমরা উঠে এসেছি। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উঠে আসলে সব শর্তপূরণ করেই আমরা জিএসপি প্লাস পাবো, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। গত অর্থবছর ৩৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছি। চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালে আমরা ৬০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য কাজ করছি।
সংলাপে ইইউ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদু। বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন।
এছাড়া বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে ইউর ৯টি দেশের রাষ্ট্রদূত, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর ১৪টি বিজনেস ফোরামের নেতা ও বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রফতানি পণ্যে বৈচিত্র আনতে ৭টি সেক্টরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নগদ সহায়তা দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এর প্রথমেই রয়েছে তথ্য-প্রযুক্তি খাত। এছাড়া ফার্মাসিউটিক্যাল, চামড়া, পাট, কৃষিভিত্তিক শিল্প উল্লেখযোগ্যভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইইউ (ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন) চাইলে এসব শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারে। আমরা এরইমধ্যে একশ’টি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক জোন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যার ২১টির কাজ এরইমধ্যে শুরু হয়েছে। আমাদের এসব কার্যক্রমের কারণে বিশ্বব্যাংক সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বাংলাদেশকে আখ্যায়িত করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।