পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বোনের সাথে বন্ধুত্ব করার অভিযোগে ১৯ বছর বয়সী এক মুসলিম যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার দুই হিন্দু বন্ধু। হত্যাকান্ডটি গত ২৫ সেপ্টেম্বর ঝাড়খন্ডের রুতু জেলায় ঘটে যেখানে নিহত শাহবাজ আনসারি দুই অভিযুক্ত- ওমপ্রকাশ মাহতো (২৫) এবং সুশান্ত নায়ক (২৫)-এর সাথে বাইরে গিয়েছিলেন। এক পর্যায়ে তিনজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায় এবং মাহতো ও নায়ক আনসারির মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরের দিন আনসারির বাবা মান্দার জেলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মাহতো এবং নায়ক অপরাধ স্বীকার করার পরে ২৭ সেপ্টেম্বর পুলিশ গ্রেফতার করে। ভারতীয় দÐবিধির (আইপিসি) ধারা ৩০২ (খুন), ৩৪ (কয়েকজন ব্যক্তি সাধারণ অভিপ্রায়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কাজ) এবং ১২০ (বি) (অপরাধী ষড়যন্ত্রের শাস্তি) এর অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর সানি ডেভিস বারার সাথে কথা বলেছেন সিয়াসাত সংবাদদাতা। তিনি বলেন যে, নায়ক তার বোন শিখার সাথে আনসারির ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বকে মেনে নিতে পারেনি।
‘নায়কের পরিবার এবং আনসারীর নানী প্রতিবেশী ছিলেন। আনসারী প্রায়ই তার নানীর সাথে দেখা করতেন এবং এক পর্যায়ে তিনি এবং শিখা বন্ধু হয়ে ওঠেন। এটি নায়কের কাছে ভাল লাগেনি। সাব-ইন্সপেক্টর সিয়াসাতকে বলেছেন, নায়ক অনেক সময় আনসারীকে তার বোনের কাছ থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্ক করেছিলেন।
ব্যাপারটা আরো খারাপের দিকে যাওয়ায় নায়ক মাহতোর সাথে মিলে আনসারীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তারা ওই যুবককে সঙ্গে নিয়ে রুতু জেলায় নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
আনসারির হাতে, পায়ে, পিঠে ও মাথায় বেশ কিছু গুরুতর জখম হয়েছে। মাহতো এবং নায়ক বর্তমানে রাঁচির জেলে বন্দি। আরো তদন্ত চলছে। সূত্র : সিয়াসাত ডেইলি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।