পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ব্যাংক বহির্ভ‚ত সাত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি পরিমাণ ৪২ থেকে ৯৬ শতাংশ। এর মধ্যে মাইডাস ফাইন্যান্সের খেলাপি ঋণই প্রায় ৫০ শতাংশ। গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগের সাবেক প্রধান কর্মকর্তা শামীম আহমেদ। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শামীম আহমেদ বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান মাইডাস ফাইন্যান্সের খেলাপি ঋণ প্রায় ৫০ শতাংশ। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জুন শেষে প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ প্রায় ১৯ শতাংশ। কিন্তু এ তথ্য অস্বচ্ছ।
তিনি দাবি করেন, দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে চরম বিশৃঙ্খলা চলছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে তার মধ্যে অন্যতম হলো মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেড দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে প্রায় বিলুপ্তির পথে এ প্রতিষ্ঠানটি। এতে হাজার হাজার আমানতকারী ও বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন।
শামীম আহমেদ বলেন, আমি প্রতিষ্ঠানটিতে দীর্ঘ ১৫ বছর চাকরি করেছি। চাকরিজীবনে এসব অনিয়মের সাক্ষী ছিলাম। এসব বিষয়ে দুদকে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এসব অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার হোল্ডার, বিনিয়োগকারী ও আমানতকারীদের জানানো নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করছি।
তিনি অভিযোগ করেন, মাইডাস ফাইন্যান্সের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুস্তাফিজুর রহমানকে পি কে হালদারের বিশ্বস্ত অনুচর। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দুঃশাসন, অব্যবস্থাপনা ও অরাজকতার সৃষ্টির হাজারো অভিযোগ রয়েছে। এমডি সিন্ডিকেট গঠন, অর্থ আত্মসাৎ, ঘুষ লেনদেন, কেনাকাটায় দুর্নীতি, অবৈধ নিয়োগ ও ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছেন।
শামীম আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল আযম ও পরিষদ সদস্য সামছুল আলমের বিরুদ্ধে নিজ নামে ঋণ অনুমোদন, জাল-জালিয়াতি, দুর্নীতির প্রমাণ নষ্ট করতে ঘুষ দেওয়া, নারী কেলেঙ্কারি, বেতন-ভাতা ম্যানিপুলেশন, মাদক কারবার ও কোম্পানির গাড়ি-বাড়ি দখলসহ বিস্তর অভিযোগ তুলে ধরেন সংবাদ সম্মেলনে। এছাড়া বর্তমান কোম্পানির সচিবের দায়িত্বে থাকা তানভীর হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নানা ক‚টকৌশলের অভিযোগও করেছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।