পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সফলতার দূরদর্শী কারিগর বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, সমুদ্রসীমা বিজয়, ছিটমহল সমস্যার সমাধান, ডেল্টা প্লান ঘোষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর সমাধান ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের মণিকোঠায় আজীবন থাকবেন। গতকাল বুধবার জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের গাজীপুরস্থ ক্যাম্পাসে সিনেট হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘আজ থেকে ২৫/৩০ বছর আগে ভাতের মাড় খাওয়ার জন্য গরিব মানুষ দারস্থ হতো। কিন্তু আজ তিনবেলা পেট ভরে খাওয়ার পরেও আমরা আমাদের উদ্বৃত্ত খাদ্য রপ্তানি করতে পারি। এটি কী এমনি এমনি হয়েছে? তা হয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যার একটি প্রিয় ¯েøাগান- বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। এই ভাত এবং ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে বাঙালির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করেছেন। তিনি কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা আগে বলেননি। তিনি আগে বলেছেন ভোট এবং ভাতের অধিকারের কথা। এটি আগে নিশ্চিত করে এরপর বলেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা। অর্থাৎ উন্নয়নের যে রূপকল্প, মহাপরিকল্পনা সেটিতে কোনটির পর কোন ধাপে যেতে হবে তা তিনি ঠিক করেছেন নিপুণ হাতে। আমি তো মনে করি পৃথিবীর অনেক সেরা রাষ্ট্রপ্রধানরাও উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সফলতা বঙ্গবন্ধু কন্যার মতো কেউ দেখাতে পারেননি। ক’টা মানুষ পৃথিবীর সামনে দাঁড়িয়ে, জাতিসংঘসহ অন্যান্য ফোরামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বলতে পারবেন আমরা যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা চাই না। কিন্তু তিনি বলেছেন। শেখ হাসিনা যতটা না বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার নেত্রী তারচেয়ে আজ শেখ হাসিনা বিশ^জনীন নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. নাসরীন আহমাদ।
জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেছে। বাদ যোহর বিশ^বিদ্যালয়ের মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া ক্যাম্পাসে ফলোজ, বনোজ ও ঔষধি গাছ রোপণ করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন ভিসি। ক্যাম্পাসে মেডিকেল সার্ভিসেস দপ্তরের মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম আরেফিনের তত্ত¡াবধানে রক্তদান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতেও অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হয়।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ^বিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ^বিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশ^বিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।