পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নদী ও পরিবেশ নিয়ে একটি মহল অপরাজনীতির পায়তারা করছে বলেজানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আয়োজিত ‘রাইটস অব রিভার্স’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,বর্তমানে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাড়াচ্ছে। মোংলা বন্দরে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ আসছে। উন্নয়ন হচ্ছে। ঠিক তখনই নদী ও পরিবেশ নিয়ে অপরাজনীতির পায়তারা করছে একটি মহল। যথাযথ নিয়ম মেনে উন্নয়ন প্রকল্প করতে গেলেই বাধা আসে। এমনকি এই নিয়ে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিচ্ছেন অনেকে। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জনগণকে নদীমুখী করতে পারছি-এটা আমাদের সফলতা। সরকার গঠনের পর বলেছি- নদীকে আলোচনায় আনতে হবে; নদী নিয়ে জনগণকে ভাবতে হবে। জনগণ এখন নদী নিয়ে ভাবছে; নদীর সঙ্গে চলে এসেছে-এটা আমাদের সফলতা। বঙ্গবন্ধু জলাভূমি ও নদী নিয়ে কথা বলেছেন। নদী ও জলাভূমি রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি। নদীর নাব্যতা রক্ষায় বঙ্গবন্ধু বিআইডব্লিউটিএ'র জন্য অনেকগুলো ড্রেজার সংগ্রহ করেছে। সেগুলো এখনও সচল আছে এবং নাব্যতা রক্ষায় কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল এবং রাজবাড়ীর পাংশায় নদী খনন কাজে অংশ নিয়েছিলেন। নদী রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপগুলো নিয়ে কাজ করতে পারলে-আজকে নদীর নাব্যতা ও দূষণ নিয়ে কথা বলতে হতোনা। এখন বাস্তবতা হলো-নদীর প্রবাহ ও নাব্যতা কমে গেছে। দূষণে ব্যবহার অনুপযোগী হয়েছে। নদী রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠন করেছেন।
তিনি বলেন, ঢাকার চারপাশে মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি গড়ে তোলা এবং ১৯৯৯ সালে দূষণরোধে প্রকল্প নেয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেগুলো হয়নি। আরো বেশি দূষণ হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় নদী তীর দখলমুক্ত করার চেষ্টা করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহস নিয়ে কাজ করছি। তিনি আমাদের উৎসাহিত করছেন এবং সাহস যুগিয়েছেন। বিআইডব্লিউটিএ'র মাধ্যমে ৯০ ভাগ নদীর জায়গা দখলমুক্তের কাজ হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতিটি বক্তব্যে নদী রক্ষার কথা বলেন। সে থেকে বুঝতে হবে বর্তমান সরকার নদী রক্ষায় কতটা সচেতন। কেন না শরীরে রক্ত চলাচলে যেমন শিরা উপশিরা প্রয়োজন তেমনি নদী দেশের সকল ধরনের প্রবাহ রাখতে সহযোগিতা করে। নদী রক্ষায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদী রক্ষায় ধারাবাহিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। বর্তমানে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাড়াচ্ছে। মোংলা বন্দরে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ আসছে। উন্নয়ন হচ্ছে। ঠিক তখনই নদী ও পরিবেশ নিয়ে অপরাজনীতির পায়তারা করছে একটি মহল। যথাযথ নিয়ম মেনে উন্নয়ন প্রকল্প করতে গেলেই বাধা আসে। এমনকি এই নিয়ে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিচ্ছেন অনেকে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশকে কখনো ক্ষত বিক্ষত করবে না। দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা বদ্ধপরিকর। চট্টগ্রাম ও মাতারবাড়ী বন্দরের উন্নয়নের গতিকে স্লো করতে ও টেনে ধরার জন্য পরিবেশের নামে কিছু লোক ঢুকে পড়েছে, সে বিষয়ে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। আসুন সবাই আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই-নদীমাতৃক বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করব।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিজ গোয়েন লুইস। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড. আইনুন নিশাত। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান ও সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।