পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত পরিমান খাদ্য মজুত রয়েছে, কোন ধরনের খাদ্য ঘাটতি নেই। দেশে একই জমিতে বছরে তিনবার ফসল ফলে। ফলে, খাদ্য সংকটের কোন সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নকে কোনভাবে বাধাগ্রস্থ করা যাবে না। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। ভবিষ্যতেও দেশের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
খাদ্যমন্ত্রী শনিবার নিয়ামতপুরের তালতলিতে তাল পিঠা মেলায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ এ মেলার আয়োজন করে।
একাত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আজ এ তাল মেলা আয়োজন সম্ভব হতো না উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীব্যাপী নানা সংকট তৈরি হয়েছে। মানুষের কষ্ট হচ্ছে এটা ঠিক, তবে এ সময় আমাদের সহনশীল হতে হবে’।
তাল পিঠা বাঙালির চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অংশ এ কথা উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ঐতিহ্য ধরে রাখতে তাল পিঠা মেলা বিশেষ ভূমিকা রাখবে। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে মিশে আছে পিঠা পুলির উৎসব।
মন্ত্রী বলেন, ‘তালতলির তালগাছ নিয়ে কথা বলতে গেলে আমি আবেগ প্রবণ হয়ে পড়ি। এই তালগাছ রোপণকালে যারা আমার সহযোগি ছিলেন তাদের কথা মনে পড়ে। আবার ভাবতে ভালো লাগে সেই তালগাছের নিচে এখন তাল পিঠার মেলা হয়’।
তালগাছ রোপণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, একসময় এ অঞ্চলের বাবা-মায়েরা মেয়ের বাড়িতে তালের পিঠা নিয়ে যেত। তালগাছ কমে যাওয়ায় জামাইয়ের বাড়িতে পিঠা পাঠানোর ঐতিহ্য দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে। তখন মনে করলাম এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। তাছাড়া তালগাছ বজ্রপ্রতিরোধক, তাই তালগাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজন আমাদের মানবিক হতে শেখায়। আমাদেরকে শেকড়ের কাছে নিয়ে যায়। তাল পিঠার মেলাকে কেন্দ্র করে মানুষে মানুষে মনের সংযোগ ঘটে’।
পিঠা মেলায় নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. খালিদ মেহেদী হাসান ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিয়ামতপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক সুফিয়ান। হাজিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
দিনব্যাপী এ পিঠা মেলায় তালের তৈরি নানান ধরনের পিঠার পসরা নিয়ে হাজির হয়েছেন এ অঞ্চলের পিঠাশিল্পীরা। এবার ৫০টিরও বেশি স্টলে প্রায় ৩০ ধরনের পিঠা দিয়ে সাজানো হয়েছে এ মেলা। মেলায় তালের তৈরি ফুলঝুরি, জামাই পিঠা, খেজুর পিঠা, তাল জিলাপি, তাল কেক, তালক্ষীর, মুইঠা পিঠা, গড়গড়া, তাল রুটি, কান মুচুরি ও ডাল বড়া প্রভৃতি স্থান পেয়েছে।
উল্লেখ্য, তালতলিতে ১৯৮৬ সালে তাল গাছ রোপণ করেন তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তালতলির তালসড়ক এখন এ অঞ্চলের পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে। এখানে ২০২১ সালে প্রথমবার তাল পিঠা মেলা আয়োজন করা হয়। প্রকৃতিতে শোভাবর্ধনের পাশাপাশি আয়বর্ধক কাজেও তালগাছগুলো ভূমিকা রেখে চলেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।